বাজির আঘাতেই পাখিটি মারা গিয়েছে বলে দাবি পরিবেশপ্রেমীদের। নিজস্ব চিত্র
শহরে দীপাবলির রাতে উচ্চগ্রামের শব্দবাজির দাপটে পথকুকুর এবং গৃহপালিত পোষ্যদের রাতে আতঙ্কগ্রস্থ হওয়ার ঘটনা আগেও ঘটেছে। এ বার তার সঙ্গে যোগ হল নতুন ঘটনা। রবিবার রাতে শিলিগুড়িতে শব্দবাজির দাপটে একটি বিরল প্রজাতির পাখিও মারা গিয়েছে বলে পরিবেশপ্রেমীদের পক্ষে দাবি করা হয়েছে। ‘হুডেড পিট্টা’ নামে ওই পাখি বৈকুণ্ঠপুরের জঙ্গল থেকে এসেছিল বলে মনে করা হচ্ছে।
রবীন্দ্রনগরের বাসিন্দা তথা ক্যানসার সচেতনতা সংস্থার কর্তা সজল নন্দীর বাড়ির বাগানে ওই পাখিটিকে মৃত অবস্থায় পাওয়া গিয়েছে। সজলবাবুর দাবি, বাজির শব্দে বা পটকার আঘাতে পাখিটি মারা গিয়ে থাকতে পারে। তাঁর বাড়িতে গাছগাছালি রয়েছে। তাই নিকটবর্তী বৈকুণ্ঠপুর জঙ্গল থেকে নানা সময়ে পাখি আসে। কিন্তু পটকার দাপটে পাখির প্রাণ গেল, এমনটা আগে কখনও দেখেননি তিনি। শহরের অন্যান্য এলাকার সঙ্গে রবীন্দ্রনগরেও রবিবার রাতে শব্দবাজির দাপট ছিল মারাত্মক। সজল বলেন, ‘‘ওই সময়েই পাখিটি মারা গিয়ে থাকতে পারে।’’
সোমবার সকালে অনেক বাড়িতেই পাখির দেখা মেলেনি বলে জানান বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দারা। পরিবেশপ্রেমীদের দাবি, রাতে তীব্র রঙিন আলো দেখে অনেক পাখিই দিশেহারা হয়ে পড়ে। আলোর তীব্রতায় ও শব্দের অভিঘাতে তারা মারাও যেতে পারে, দাবি পরিবেশপ্রেমীদের। দীপাবলির রাতে শব্দের দাপটে গৃহপালিতদের মধ্যে অস্বাভাবিক আচরণ লক্ষ্য করেন অনেকেই।