বৃহস্পতিবার বিধানসভায় বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন শুভেন্দুরা। নিজস্ব চিত্র।
রামপুরহাটের বগটুই গ্রামের ঘটনা প্রসঙ্গে বিস্ফোরক দাবি করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বৃহস্পতিবার বিধানসভার অধিবেশন শুরু হলে বগটুইয়ের ঘটনা নিয়ে আলোচনার দাবিতে ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন বিজেপি বিধায়করা। তাঁরা দাবি করেন, ‘‘অধিবেশনের যাবতীয় কর্মসূচি বাতিল করে অবিলম্বে রামপুরহাটের গণহত্যা নিয়ে আলোচনা করতে হবে।’’ কিন্তু স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় সে বিষয়ে কর্ণপাত না করলে বিক্ষোভ দেখিয়ে ওয়াকআউট করেন তাঁরা। এর পরেই সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিদের মুখোমুখি হন শুভেন্দু। বগটুইয়ের ঘটনা প্রসঙ্গে বিস্ফোরক দাবি করে তিনি বলেন, ‘‘আমি গতকাল ওই গ্রামে গিয়ে ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলেছি। আমরা জেনেছি, ওখান মহিলা শিশুদের পুড়িয়ে মারার আগে বাড়িতে ঢুকে কুপিয়ে মারা হয়েছে। তার পর বাড়ির দরজা বন্ধ করে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে।’’ নন্দীগ্রামের বিধায়ক আরও বলেন, ‘‘ওই গ্রামে বিজেপি মাত্র ১৮টি ভোট পেয়েছে। সংখ্যালঘুদের ওই গ্রামে আমরা রাজনীতি করতে যাইনি। গিয়েছিলাম মানবতার খাতিরে। সেখানে গিয়ে গ্রামের মানুষের মুখে যা শুনেছি, তা মধ্যযুগীয় বর্বরতাকে হার মানাবে।’’
বগটুইয়ের বাসিন্দারা তাঁর কাছে সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়েছেন, বলেও দাবি করেছেন শুভেন্দু। তিনি বলেন, ‘‘এখনও বিধানসভার অধিবেশন শেষ হতে দু’এক দিন বাকি। আমরা রাজ্য সরকারের কাছে আবেদন জানাব, বগটুইয়ের ঘটনা নিয়ে আলোচনার। যদি তেমনটা না করা হয়, তা হলে আমরা বিক্ষোভ করব।’’ শুভেন্দু আরও বলেন, ‘‘ওই গ্রামের বাসিন্দারা আমাদের কাছে বলেছেন, কেন্দ্রীয় বাহিনী এনে আমাদের নিরাপত্তা বন্দোবস্ত করুন। রাজ্য পুলিশের উপর আমাদের আস্থা নেই। এই ঘটনায় এনআইএ-র হস্তক্ষেপও আমরা দাবি করেছি। কারণ সিট গঠন নিয়ে আমাদের মনে প্রশ্ন রয়েছে। তাতে এমন এক জন পুলিশ অফিসার রয়েছেন, যাঁর বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। জ্ঞানবন্ত সিং এর নেতৃত্বে কোন তদন্ত সুচারুভাবে সম্পন্ন হতে পারে না।’’