সংবিধানের ৩৫৫ নম্বর ধারায় বলা হয়েছে, প্রতিটি রাজ্যকে বাইরের আগ্রাসন ও অভ্যন্তরীণ গোলযোগ থেকে রক্ষা করা কেন্দ্রের দায়িত্ব। রাজ্য সরকার যাতে সংবিধান অনুযায়ী চলে, তা নিশ্চিত করাও কেন্দ্রের দায়িত্ব-কর্তব্যের মধ্যেই পড়ে। পশ্চিমবঙ্গে অভ্যন্তরীণ গোলযোগ তৈরি হলে তা থেকে রাজ্যকে রক্ষা করতে চাইলে কেন্দ্র হস্তক্ষেপও করতে পারে।
গ্রাফিক: সনৎ সিংহ।
রামপুরহাট-কাণ্ডের জেরে রাজ্যে ৩৫৫ ধারা জারির দাবি তুললেন লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা অধীররঞ্জন চৌধুরী। বুধবার রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের কাছে পাঠানো চিঠিতে রাজ্যে আইনশৃঙ্খলা ভেঙে পড়ার অভিযোগ তুলে তিনি লিখেছেন, ‘গত এক মাসে ২৬টি রাজনৈতিক খুন হয়েছে।’
অধীরের দাবি, শাসকদলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরেই বীরভূম জেলার রামপুরহাটের বড়শাল পঞ্চায়েতের উপপ্রধান খুন এবং তাঁর প্রতিক্রিয়ায় মহিলা শিশু-সহ সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ১২ জনকে পুড়িয়ে খুনের ঘটনা ঘটেছে। এ প্রসঙ্গে রাজ্যে ভোট পরবর্তী সন্ত্রাসের প্রসঙ্গও এসেছে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির চিঠিতে।
চিঠির শেষে রাষ্ট্রপতির কাছে অধীরের আবেদন, ‘পশ্চিমবঙ্গ সরকার যাতে সাংবিধানিক বিধি মেনে চলতে বাধ্য হয়, তা নিশ্চিত করার জন্য রাজ্যে ৩৫৫ ধারা জারির অনুরোধ জানাচ্ছি।’ প্রদেশ কংগ্রেস সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার দুপুরে রামপুরহাটের বগটুই গ্রামের গণহত্যাস্থল পরিদর্শনে যেতে পারেন।
প্রসঙ্গত, সংবিধানের ৩৫৫ নম্বর ধারায় বলা হয়েছে, প্রতিটি রাজ্যকে বাইরের আগ্রাসন ও অভ্যন্তরীণ গোলযোগ থেকে রক্ষা করা কেন্দ্রের দায়িত্ব। রাজ্য সরকার যাতে সংবিধান অনুযায়ী চলে, তা নিশ্চিত করাও কেন্দ্রের দায়িত্ব-কর্তব্যের মধ্যেই পড়ে। পশ্চিমবঙ্গে অভ্যন্তরীণ গোলযোগ তৈরি হলে তা থেকে রাজ্যকে রক্ষা করতে চাইলে কেন্দ্র হস্তক্ষেপও করতে পারে।
বগটুই-কাণ্ডের জেরে রাজ্যে ৩৫৬ ধারা জারি করে সরকার ভেঙে দেওয়ার দাবি তুলেছেন বিজেপি নেতাদের একাংশ। যদিও অধীর ৩৫৫ ধারার প্রয়োগেরপ মাধ্যমেই কেন্দ্রীয় হস্তক্ষেপের দাবি সীমাবদ্ধ রেখেছেন। ভারতীয় সংবিধানের ৩৫৬ নম্বর ধারা অনুযায়ী রাজ্যপালের রিপোর্টের ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসন জারির ক্ষমতা রয়েছে কেন্দ্রের। তার আগে ৩৫৫ নম্বর অনুচ্ছেদ কাজে লাগিয়ে রাজ্যে অভ্যন্তরীণ গোলযোগ চলছে বলে হস্তক্ষেপ করতে পারে কেন্দ্র।