গত ১৫ মার্চ রাজ্যসভায় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ বলেন, ‘‘অসতর্কতাবশত ঘটে যাওয়া ওই ঘটনাটি সরকার অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে দেখছে। এ বিষয়ে উচ্চপর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’’ ঘটনার পরেই হরিয়ানার ওই ক্ষেপণাস্ত্র ঘাঁটির সুরক্ষা ও প্রযুক্তি ব্যবস্থা পরীক্ষা করে হয়েছে বলেও জানান তিনি।
প্রতীকী ছবি।
ভারতীয় বায়ুসেনার গ্রুপ ক্যাপটেন স্তরের এক অফিসারের ভুলেই ভারতীয় সেনার ক্ষেপণাস্ত্র লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে পাকিস্তানের মাটিতে আছড়ে পড়ার ঘটনা ঘটেছিল। বুধবার প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের একটি সূত্রে এই খবর মিলেছে।
ওই সূত্র জানাচ্ছে, গত ৯ মার্চের ওই ঘটনার পরেই এয়ার ভাইস মার্শাল স্তরের এক জন অফিসারের নেতৃত্বে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছিল। সেই কমিটির রিপোর্ট মঙ্গলবার জমা পড়েছে। রিপোর্টে ওই ক্যাপটেন স্তরের অফিসারের ভুল সিদ্ধান্তকে দায়ী করা হয়েছে।
সে দিন হরিয়ানার সিরসায় ভারতীয় বায়ুসেনার ঘাঁটি থেকে একটি ব্রহ্মস ক্ষেপণাস্ত্র আচমকা উড়ে গিয়ে আছড়ে পড়ে পাকিস্তানের পঞ্জাব প্রদেশের মিলন চানু শহরে। খবরটি প্রথম প্রকাশ করে রাশিয়ার সংবাদ সংস্থা স্পুটনিক। তারাই প্রথম একটি ভারতীয় ক্ষেপণাস্ত্রের লক্ষ্যভ্রষ্ট হওয়ার খবর জানায়। এর পর বৃহস্পতিবার বিবৃতি দিয়ে নয়াদিল্লি বিষয়টি স্বীকার করে। জানায়, ঘটনাটি ভুল করে ঘটেছিল। এ বিষয়ে উচ্চপর্যায়ের তদন্ত শুরু হয়েছে বলেও সরকারি বিবৃতিতে বলা হয়।
গত ১৫ মার্চ রাজ্যসভায় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ বলেন, ‘‘অসতর্কতাবশত ঘটে যাওয়া ওই ঘটনাটি সরকার অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে দেখছে। এ বিষয়ে উচ্চপর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’’ ঘটনার পরেই হরিয়ানার ওই ক্ষেপণাস্ত্র ঘাঁটির সুরক্ষা ও প্রযুক্তি ব্যবস্থা পরীক্ষা করে হয়েছে জানিয়ে রাজনাথ বলেন, ‘‘আমরা সমরাস্ত্রের সুরক্ষা ব্যবস্থাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে থাকি।’’