কলকাতায় বামেদের মিছিল। —নিজস্ব চিত্র।
রাত পোহালে শহরে তৃণমূলের ২১ জুলাইয়ের শহিদ সমাবেশ। তার ঠিক আগের দিন কলকাতায় পথে নেমে মুখ্যমন্ত্রীকে ব্যাখ্যাও ছুড়ে দিল বামেরা। কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকারের দুর্নীতির বিরুদ্ধে ১৭টি বাম দল মিলে সোমবার কলেজ স্কোয়্যার থেকে রানি রাসমণি অ্যাভিনিউ পর্যন্ত মিছিলে ভিড় হয়েছিল ভালই।
মিছিল শেষে সারদা কেলেঙ্কারিতে জড়িত শাসকদলের নেতামন্ত্রীদের নাম প্রকাশ্যে আনার দাবি জানিয়েই থামেনি বামেরা, সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্তি মিশ্র হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, ‘‘আগামী ১০ অগস্ট হাজার হাজার কৃষককে নিয়ে নবান্ন অভিযান হবে। মুখ্যমন্ত্রী যেন সে দিন নবান্ন ছেড়ে পালিয়ে না যান।’’
অন্য দিকে, নয়াদিল্লিতেও বিক্ষোভ-মিছিলের কর্মসূচি পালন করে বামেরা। রাজধানীর রাস্তায় ৬টি বামপন্থী দলের মিছিলে সামিল হন বৃন্দা কারাট, হান্নান মোল্লা-সহ বহু কর্মী-সমর্থক।
এ দিন দুপুর ২টো নাগাদ কলেজ স্কোয়্যার থেকে বামেদের মিছিল শুরু হয়। ধর্মতলায় রানি রাসমনি অ্যাভিনিউয়ে সেই মিছিল শেষে এক সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান বিমান বসু। তাঁর অভিযোগ, “দুর্নীতিতে ডুবে রয়েছে রাজ্য সরকার। চিটফান্ড ও তোলাবাজির টাকাতেই তৃণমূলের রমরমা।” সাম্প্রতিক কালে এ রাজ্যে বেআইনি আর্থিক প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগ করে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন বহু মানুষ। সেই সমস্ত প্রতারিতদের টাকা ফেরতের দাবিও জানান বিমানবাবু। প্রতাড়িতদের নিয়ে আরও বড় আন্দোলনের আহ্বান জানান তিনি। প্রতারিতদের নাম-ঠিকানা সংগ্রহের জন্য দলীয় কর্মী-সমর্থকদের নির্দেশ দেন। একই সুর শোনা যায় সূর্যকান্তের বক্তব্যেও। তাঁর দাবি, “রাজ্যে হাজার হাজার টাকা লুঠ হচ্ছে।”