রাজু ঝা। ফাইল চিত্র।
আততায়ীদের নীল গাড়ির পিছনেই সাদা রঙের একটি গাড়ির উপস্থিতি ধরা পড়েছিল। সেটির ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। কয়লা কারবারি রাজু ঝাকে খুনের পরে নীল গাড়ি ফেলে রেখে ওই গাড়িতেই চম্পট দিয়েছে আততায়ীরা, বিভিন্ন সিসিটিভি ফুটেজ পরীক্ষা করে এমনই ধারণা তদন্তকারীদের। পুলিশ সূত্রের দাবি, গাড়িটিকে বর্ধমান-কাটোয়া রোড ধরে এগোতে দেখা গিয়েছে। সেখান থেকে গাড়িটি কোথায় গিয়েছে, তা জানতে লাগোয়া নানা জেলাতেও সিসিটিভি ফুটেজ পরীক্ষা করা হচ্ছে বলে পুলিশ জানায়। এরই মধ্যে, যে নীল গাড়িতে আততায়ীরা এসেছিল, সেটি দিল্লির জনকপুরী থেকে জানুয়ারিতে চুরি যায় বলে জানা গিয়েছে।
১ এপ্রিল পূর্ব বর্ধমানের শক্তিগড়ে খুনের পরে ঘটনাস্থল থেকে কিলোমিটার দুয়েক দূরে, থানার কাছে নীল গাড়িটি ফেলে রেখে পালায় আততায়ীরা। সেখান থেকে কাছেই রেললাইন। পুলিশ গোড়ায় মনে করেছিল, ট্রেনে পালিয়েছে দুষ্কৃতীরা। কিন্তু ফুটেজে ঘটনাস্থলের কাছে সাদা গাড়িটির গতিবিধি ধরা পড়ায়, অন্য সম্ভাবনা খতিয়ে দেখা শুরু হয় বলে পুলিশের দাবি।
পুলিশ সূত্রের খবর, ঘটনার পরে নীল গাড়িটির মতো সাদা গাড়িটিকেও জাতীয় সড়ক ধরে আর বিশেষ এগোতে দেখা যায়নি। বরং দেখা যায়, শক্তিগড় বাজার থেকে রেললাইন পার করে গ্রামীণ রাস্তা ধরে বর্ধমান-কাটোয়া রোডে উঠে কাটোয়ার দিকে এগিয়েছে গাড়িটি। নীল গাড়ি ফেলে রেখে সেটিতে সওয়ার হয়েছে আততায়ীরা, সন্দেহ দৃঢ় হয় তদন্তকারীদের। পুলিশের দাবি, কাটোয়া রোডে যেখানে গাড়িটি দেখা গিয়েছে, সেখান থেকে ভেসেলে গঙ্গা পেরিয়ে নদিয়ায় ঢোকা যেতে পারে। কিন্তু সে ঝুঁকি দুষ্কৃতীরা নেবে কি না, সে নিয়ে সংশয়ে তদন্তকারীরা। আবার, কেতুগ্রাম হয়ে বীরভূম বা মুর্শিদাবাদের রাস্তা ধরার সম্ভাবনা রয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বীরভূমের নানা এলাকার ফুটেজ দেখা হচ্ছে। মুর্শিদাবাদের ভরতপুর, বড়ঞা এবং সালারের সিসিটিভি ফুটেজও নজরে রয়েছে।
পুলিশের একটি সূত্রের দাবি, ফুটেজে দেখা গিয়েছে, এক আততায়ীর গলায় হিন্দি বলয়ের মানুষজনের ঢঙে গামছা বা কাপড় জড়ানো ছিল। সেখান থেকে ভাড়াটে খুনি আনা হয়েছিল বলেই অনুমান পুলিশের। এক পুলিশকর্তার দাবি, “পথের খেই ধরতে পারলে, সাদা গাড়ি ছেড়ে মাঝপথে আততায়ীরা অন্য গাড়িতে উঠলে, তা-ও ধরা পড়বে। সে ভাবেই এগোনোর চেষ্টা হচ্ছে।’’