Raju Jha Murder Case

রাজু ঝা-কে খুনের জন্য নিয়োগ করা সুপারি কিলারদের সঙ্গে মোবাইলে কথোপকথন ধৃত অভিজিতের!

পুলিশ সূত্রে খবর, সুপারি কিলারদের ব্যবহৃত গাড়িটি দিল্লি থেকে চুরি করা। সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে জানা গিয়েছে, ৩০ মার্চ বাঁকুড়া থেকে এসেছিল সেটি। এর পর তা অভিজিতের বাড়ির আশপাশে রাখা ছিল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বর্ধমান শেষ আপডেট: ১৯ এপ্রিল ২০২৩ ১৯:৫৬
Share:

রাজু ঝা-কে খুনের ১৯ দিন পর মঙ্গলবার সন্ধ্যায় পানাগড়ের বাসিন্দা (বাঁ দিকে) অভিজিৎ মণ্ডলকে গ্রেফতার করা হয়েছে। —নিজস্ব চিত্র।

কয়লা ব্যবসায়ী রাজু ঝা-কে খুনের জন্য যে সুপারি কিলারদের কাজে লাগানো হয়েছে, তাদের সঙ্গে মোবাইলে কথাবার্তা চালিয়েছেন ধৃত অভিজিৎ মণ্ডল। সে তথ্য মুছে ফেলতে কয়েক দিন আগে ওই মোবাইলটি ফরম্যাট করে ফেলেন অভিজিৎ। পুলিশ সূত্রে এমনই দাবি। যদিও এ বিষয়ে সংবাদমাধ্যমের কাছে মুখ খোলেননি তদন্তকারীরা।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে খবর, রাজু খুনের ১৯ দিন পর মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সিটি সেন্টারে তাঁর কর্মস্থল থেকে পানাগড়ের বাসিন্দা অভিজিৎকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মোবাইলের সূত্র ধরেই তাঁকে পাকড়াও করেছে পুলিশ। গ্রেফতারির পর তাঁর মোবাইল ফোনটা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পেরেছে, যে সুপারি কিলাররা রাজু খুনে জড়িত বলে অভিযোগ, তাদের সঙ্গে এই মোবাইল থেকেই কথোপকথন হয়েছিল অভিজিতের। অন্য দিকে, মাসখানেক আগে জেল থেকে ছাড়া পান তিনি। তদন্তকারীরা মনে করছেন, জেলে থাকাকালীন গুড্ডু নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে পরিচয় হয়েছিল অভিজিতের। ওই গুড্ডুই হয়তো সুপারি কিলারদের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ করিয়ে দেন।

১ এপ্রিল রাজুকে খুনের জন্য একটি চোরাই বোলেনো গাড়ি ব্যবহার করা হয়েছিল বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। পুলিশ সূত্রে আরও খবর, দিল্লি থেকে চুরি গিয়েছিল ওই গাড়িটি। সিসি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখে জানা গিয়েছে, ৩০ মার্চ বাঁকুড়া থেকে এসেছিল সেটি। এর পর তা অভিজিতের বাড়ির আশপাশে রাখা ছিল। ওখানে আর একটি সাদা ছোট গাড়িও ছিল, যাতে করে খুনিরা পালিয়ে যায়। দু’টি গাড়িই ৩০ এবং ৩১ মার্চ দুর্গাপুরের বামুনাড়াতে ছিল বলে পুলিশ জানতে পেরেছে।

Advertisement

তদন্তকারীদের সূত্রে দাবি, এই গাড়ি দুটি ৩০ ও ৩১ এই দু’দিন দুর্গাপুরের বামুনাড়াতে ছিল বলে পুলিশ জানতে পেরেছে। ৩১ মার্চ রাত ৩টে নাগাদ বোলেনো গাড়িটি দুর্গাপুর থেকে বার হয়েছিল। ভোর ৩টে ৫০ মিনিট নাগাদ পশ্চিমবঙ্গ পেরিয়ে তা ২ নম্বর জাতীয় সড়কের উপর দিয়ে নিরসা টোল প্লাজা পার করে। দুপুর পৌনে ২টো নাগাদ গাড়িটি ওই টোল প্লাজা পেরিয়ে আবার বামুনাড়া এলাকাতেই ঢোকে। পরে রাজুর গাড়িটি নিয়ে পিছন পিছন যায়। এর পর তাঁকে খুন করে সুপারি কিলাররা। এর পর বোলেনো গাড়িটি ফেলে ছোট সাদা গাড়িটি নিয়ে সুপারি কিলাররা শক্তিগড় থেকে বীরভূমের দিক দিয়ে ভাগলপুরের রাস্তায় চলে যায়।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement