বুধবার সাংবাদিক সম্মেলনে শুভেন্দুর নাম না করে মুখ্যমন্ত্রী জানান, অমিত শাহকে ফোন করার অভিযোগ মিথ্যা। ফাইল চিত্র ।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে ফোন করার কথা ‘ডাহা মিথ্যা’ বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে ওই দাবি করে তিনি জানান, প্রমাণ করতে পারলে মুখ্যমন্ত্রিত্ব ছেড়ে দেবেন। তৃণমূল জাতীয় দলের তকমা হারানোর পর শুভেন্দু অধিকারী দাবি করেছিলেন, মমতা চার বার ফোন করেছেন অমিত শাহকে। শুভেন্দুর সেই দাবি মমতা খণ্ডন করার পর বিরোধী দলনেতা একটি টুইট করেছেন বৃহস্পতিবার। সেখানে তিনি লিখেছেন, দিল্লিতে ল্যান্ডলাইন থেকে ফোন করা হয়েছিল। একই সঙ্গে নিজের দাবিতে অনড় নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, বৃহস্পতিবার এই নিয়ে বিস্তারিত তথ্য দিয়ে মোক্ষম জবাব দেবেন তিনি।
ঘটনার সূত্রপাত মঙ্গলবার বিকালে। সিঙ্গুরে একটি দলীয় কর্মসূচির মঞ্চ থেকে শুভেন্দু দাবি করেন, ‘‘সর্বভারতীয় তকমা হারানোর পরে অমিত শাহকে চার বার ফোন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। ২০২৪ সাল অর্থাৎ লোকসভা ভোট পর্যন্ত যাতে এই তকমা বজায় থাকে, তা নিয়ে চার বার ফোন করে অনুরোধ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু অমিত শাহজি স্পষ্ট জানিয়ে দেন, তা সম্ভব নয়। নির্বাচন কমিশন যা করেছে নিয়ম মেনেই করেছে।’’
কিন্তু বুধবার সাংবাদিক সম্মেলনে শুভেন্দুর নাম না করে মুখ্যমন্ত্রী জানান, ওই অভিযোগ মিথ্যা। অভিযোগ প্রমাণিত হলে তিনি মুখ্যমন্ত্রিত্ব ছেড়ে দেবেন বলেও জানান মমতা। শুভেন্দুকে ‘ভুঁইফোড়’ এবং ‘কিম্ভূতকিমাকার’ বলে সম্বোধন করে মমতা বলেন, ‘‘দাবি সম্পূর্ণ মিথ্যা। পরিকল্পনামাফিক ভুল বার্তা দেওয়া হচ্ছে। তৃণমূলকে ছোট করে দেখানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। জনগণের সমর্থন নেই বলেই এ সব মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে।”
মমতার সাংবাদিক বৈঠকের পরেই একটি টুইট করেন শুভেন্দু। সেই টুইটে নিজের দাবিতে অনড় থেকে তিনি লেখেন, ‘‘ইয়ে ডর মুঝে অচ্ছা লাগা (এই ভয় পাওয়াটা আমার ভাল লেগেছে)। লজ্জাজনক যে আমার প্রসঙ্গে ‘কিম্ভূতকিমাকার’-এর মতো অবমাননাকর শব্দ ব্যবহার করা হয়েছে। যেটা আপনি প্রধানমন্ত্রীকে সম্বোধন করার জন্যও একদা ব্যবহার করেছিলেন। তবে দিল্লিতে ফোন করার জন্য, আপনি একটি ল্যান্ডলাইন ব্যবহার করেছেন। যথা সময়ে সব তথ্য প্রকাশ করব। আমার আগামী কালের উপযুক্ত উত্তরের জন্য অপেক্ষা করুন।’’