DG Rajeev Kumar

বাংলাদেশের পরিস্থিতির সুযোগ নিতে দিচ্ছি না, কাশ্মীরের জঙ্গিও আমরাই ধরিয়েছি: ডিজি রাজীব

অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় থাকাকালীন বাংলাদেশে যে অশান্তির পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, পশ্চিমবঙ্গে তার সুযোগ নেওয়া যাবে না। এ বিষয়ে রাজ্য পুলিশ তৎপর। জানিয়েছেন রাজীব কুমার।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৩:১৪
Share:

পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার। —ফাইল চিত্র।

বাংলাদেশের অশান্ত পরিস্থিতির সুযোগ এ পার বাংলায় কেউ কাজে লাগাতে পারবেন না। রাজ্য পুলিশ সে বিষয়ে তৎপর। রবিবার সাংবাদিক বৈঠক করে এমনটাই জানিয়েছেন রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার। তাঁর বক্তব্য, জঙ্গিদমনে পশ্চিমবঙ্গ এবং কলকাতা পুলিশ যথেষ্ট সক্রিয়। এ ব্যাপারে নিঃশব্দে কাজ করে তারা। ফলে রাজ্যের মানুষ নিরাপদে রয়েছেন।

Advertisement

কিছু দিন আগে পশ্চিমবঙ্গ এবং জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশের যৌথ অভিযানে ক্যানিং থেকে এক জঙ্গিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, কাশ্মীরের নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন তেহরিক-উল-মুজাহিদিনের সদস্য তিনি। রাজীব বলেন, ‘‘পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের এসটিএফের দেওয়া তথ্য থেকেই কাশ্মীরের বাসিন্দার খোঁজ মিলেছিল। তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে সম্প্রতি। জঙ্গিদমনের বিষয়ে আমাদের রেকর্ড অতীতেও ভাল ছিল। এখনও ভাল। আগামী দিনেও আমরা সেই রেকর্ড ধরে রাখার চেষ্টা করব।’’

কাশ্মীরের জঙ্গিকে বাংলার পুলিশই ধরিয়ে দিয়েছে, দাবি রাজীবের। তাঁর কথায়, ‘‘কাশ্মীরের জঙ্গিকে দু’দিন ধরে ট্র্যাক করেছি আমরা। ওঁর গতিবিধি নজরে রেখেছি। তার পর কাশ্মীরের পুলিশকে ডেকেছি। আমরা নিঃশব্দে আমাদের কাজ করছি। বিশেষত জঙ্গিদের বিষয়ে তদন্ত সম্পর্কে বাইরে বেশি কথা বলা যাবে না। কিন্তু তার মানে এই নয় যে, আমরা হাত গুটিয়ে বসে আছি।’’

Advertisement

বাংলাদেশ থেকে সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে অনুপ্রবেশের ঘটনাগুলি নিয়ে বিএসএফের বিরুদ্ধে পরোক্ষে তোপ দেগেছেন রাজীব। তিনি বলেন, ‘‘পশ্চিমবঙ্গ একমাত্র রাজ্য, যার সঙ্গে তিনটি দেশের সীমান্ত জুড়ে রয়েছে। সীমান্তরক্ষার দায়িত্ব বিএসএফের। সেখানে অনেক খামতি রয়েছে। গত কয়েক দিনে অনেকেই সীমান্ত পেরিয়ে এ পার বাংলায় ঢুকেছেন, ঢুকছেনও। কিন্তু আমরা তৎপর আছি। অনুপ্রবেশকারীদের আমরা গ্রেফতার করছি এবং সঠিক জায়গায় পাঠাচ্ছি।’’ যদিও কোনও তদন্তকারী বা নিরাপত্তা সংস্থার বিরুদ্ধেই কড়া সমালোচনা করতে চাননি রাজীব। মিলেমিশেই সকলকে কাজ করতে হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। সব সংস্থাতেই আরও উন্নতি এবং আরও ভাল কাজ করার জায়গা রয়েছে, মেনে নিয়েছেন ডিজি।

মানুষের সহযোগিতার ফলেই পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ সাফল্য পাচ্ছে, জানিয়েছেন ডিজি। তাঁর কথায়, ‘‘জঙ্গিদমনে আমরা সফল, কারণ আমরা মানুষের সহযোগিতা পাই। আমরা যেমন মানুষের জন্য, তেমন মানুষও আমাদের জন্য। সব তথ্য প্রকাশ করতে পারব না, তবে অনেকেই সক্রিয় ভাবে আমাদের সহযোগিতা করেন। আমরা রাজ্যের মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বদ্ধপরিকর।’’

ক্যানিং থেকে কাশ্মীরের জঙ্গি গ্রেফতার হওয়ার পর অনেকে বলছিলেন, বাংলাদেশ থেকে ভারতে প্রবেশ করে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপের ক্ষেত্রে বাংলাকে ‘করিডর’ হিসাবে ব্যবহার করছে জঙ্গি সংগঠনগুলি। ব্যবহার করা হচ্ছে ত্রিপুরা সীমান্তও। ডিজি বলেন, ‘‘পশ্চিমবঙ্গের অবস্থান এমনই যে, বাংলাদেশ থেকে কেউ কাশ্মীর বা ভারতের পশ্চিম অংশে কোথাও যেতে চাইলে এই রাজ্যের উপর দিয়েই যেতে হবে। আর কোনও বিকল্প নেই। আমাদের উপর ভরসা রাখুন। আমরা আমাদের কাজ করছি, কিন্তু নিঃশব্দে।’’ পাসপোর্ট জাল করে অনুপ্রবেশের বিষয়ে পুলিশ আরও বেশি তৎপর হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন রাজীব। তিনি জানান, আগামী দিনে বিভিন্ন থানার পুলিশ সুপারেরা ব্যক্তিগত ভাবে পাসপোর্ট যাচাই প্রক্রিয়ার তদারকি করবেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement