তদন্তে যুক্ত ছিলাম না, দাবি রাজীবের

সিবিআই সূত্রের খবর, সিট-সদস্যদের বক্তব্যের ভিত্তিতেই এ দিন ফের ডাকা হয় রাজীবকে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৮ জুন ২০১৯ ০২:০৭
Share:

সিবিআই দফতরে রাজীব কুমার। শুক্রবার। ছবি: স্নেহাশিস ভট্টাচার্য

শিলঙের পরে সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্স— কলকাতার প্রাক্তন নগরপাল রাজীব কুমারকে শুক্রবার দ্বিতীয় দফা জিজ্ঞাসাবাদ করল সিবিআই। তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, শিলঙে ৪০ ঘণ্টার জিজ্ঞাসাবাদে যা বলেছিলেন রাজীব, এ দিন ৪ ঘণ্টার জিজ্ঞাসাবাদেও তাতেই অনড় ছিলেন। তিনি ফের দাবি করেছেন, সারদা-কাণ্ডের তদন্তে তিনি কোনও নির্দেশ দেননি, এবং তিনি নিজে তদন্তও করেনি। নিচু তলার অফিসারেরাই সব তদন্ত করেছিলেন। তিনি শুধু তদন্তের গতিপ্রকৃতির উপর নজর রাখতেন।

Advertisement

এ দিন বেলা সাড়ে ১১টা নাগাদ সিজিও কমপ্লেক্সে আসেন রাজীব। সিবিআই সূত্রের বক্তব্য, সারদা মামলার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র ও তথ্যপ্রমাণ লোপাট নিয়ে তাঁকে প্রশ্ন করা হয়। এর আগে ৯ থেকে ১৩ ফেব্রুয়ারি শিলঙেও এ ব্যাপারে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল। তার পরে গত সপ্তাহে দু’দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় রাজ্য সরকার গঠিত বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট)-এর অন্যতম তদন্তকারী অফিসার অর্ণব ঘোষকে। বিধাননগর কমিশনারেটের তৎকালীন গোয়েন্দাপ্রধান অর্ণব ছাড়াও আট জন ইনস্পেক্টর তদন্তের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। ওই আট ইনস্পেক্টরকেও ইতিমধ্যেই জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।

সিবিআই সূত্রের খবর, সিট-সদস্যদের বক্তব্যের ভিত্তিতেই এ দিন ফের ডাকা হয় রাজীবকে। কারণ, তাঁরা প্রত্যেকেই জানিয়েছিলেন, সিট-প্রধান রাজীব সরাসরি তদন্তের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তাঁর নির্দেশ অনুযায়ীই তদন্ত প্রক্রিয়া চলত। কিন্তু রাজীব এ দিন সেই বয়ানকে গুরুত্ব দেননি বলেই খবর।

Advertisement

তবে রাজীব এ দিন যা বলেছেন, তাতেও খুশি নন সিবিআই তদন্তকারীরা। তাঁদের মতে, রাজীব সহযোগিতা করেননি। ফলে তাঁকে ফের তলব করা হতে পারে। সিবিআই সূত্রের বক্তব্য, কোর্টের নির্দেশে রাজীব তাদের সব প্রশ্নের উত্তর দিতে বাধ্য। তিনি অসহযোগিতা চালিয়ে গেলে জিজ্ঞাসাবাদের ভিডিয়ো রেকর্ডিং-সহ সব তথ্য আদালতে পেশ করা হবে।

এ দিকে, লোকসভা ভোট মিটে যাওয়ার পরে রাজ্য সরকার রাজীবকে এডিজি সিআইডি পদে পুনর্বহাল করলেও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক থেকে এখনও ছাড়পত্র পাননি তিনি। এ বিষয়ে কেন্দ্রকে চিঠি দিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যসচিব। কিন্তু স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের বক্তব্য, নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে রাজীব কেন্দ্রে রিপোর্ট করেছিলেন। ফলে ছাড়পত্র চেয়ে তিনি কমিশনের কাছে যেতে পারেন। অথবা আদর্শ নির্বাচনী আচরণবিধি আর বলবৎ নেই বলে তিনি আগের কাজের জায়গায় যোগ দিতে পারেন। যদিও রাজ্যের প্রশাসনিক কর্তাদের একাংশের বক্তব্য, রাজীব যেখানে রিপোর্ট করেছিলেন সেখান থেকে ছাড়পত্র না পেলে তাঁর পক্ষে সিআইডিতে যোগ দেওয়া সম্ভব নয়। সারদা-কাণ্ডে এ দিন প্রাক্তন মন্ত্রী মদন মিত্রের প্রাক্তন আপ্ত সহায়ক বাপি করিমকেও জিজ্ঞাসাবাদ করেছে সিবিআই।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement