রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। —ফাইল চিত্র।
রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের শিলিগুড়ি সফরে প্রোটোকল ভাঙা হয়েছে বলে অভিযোগ তোলা হল রাজভবনের তরফে। এ বিষয়ে রাজ্য সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণও করা হয়েছে বলে রাজভবনের তরফে জানানো হল এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডেলের পোস্টে।
বুধবার রাজভবনের কর্মীদের উদ্দেশে রাজ্যপালের ওএসডি (অফিসার অন স্পেশাল ডিউটি) বার্তা রাজভবনের এক্স হ্যান্ডেলের পোস্টে প্রকাশ করা হয়। তাতে বলা হয়, উত্তরবঙ্গে ‘হিংসা’র ঘটনার খবর পেয়ে শিলিগুড়ি গিয়েছিলেন রাজ্যপাল। যাঁরা ‘হিংসার শিকার’, তাঁদের সঙ্গে দেখাও করেছেন তিনি। কিন্তু দেখা গেল, রাজ্যপাল বাগডোগরা বিমানবন্দরে নামার পর বা শিলিগুড়িতে পৌঁছনোর পরেও তাঁর সঙ্গে শিলিগুড়ির পুলিশ কমিশনার বা দার্জিলিঙের জেলাশাসক দেখা করেননি। যদিও রাজ্যপালের এই সফরের কথা রাজ্য সরকারকে আগেই জানানো হয়েছিল। এক্স হ্যান্ডেলের পোস্টে জানানো হয়, রাজ্যপালের শিলিগুড়ি সফরে যে ভাবে প্রোটোকল ভাঙা হয়েছে, তা রাজ্য সরকারকে জানানো হয়েছে। সরকার যাতে উপযুক্ত পদক্ষেপ করে, তা-ও বলা হয়েছে রাজভবনের তরফে।
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার শিলিগুড়ির সার্কিট হাউসে বিজেপির সংখ্যালঘু মোর্চার ‘নিগৃহীতা’ নেত্রীর সঙ্গে কথা বলেছিলেন রাজ্যপাল। তার পরেই তোপ দেগেছিলেন রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে। প্রশাসনিক সূত্রে খবর, ‘নিগৃহীতার’ কাছে পুরো ঘটনা শুনেছিলেন রাজ্যপাল। পরে তিনি বলেছিলেন, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাংলায় মহিলারা সুরক্ষিত নন।’’ এই ধরনের ঘটনায় রাজ্য সরকারের প্রচ্ছন্ন মদত রয়েছে বলেও অভিযোগও তুলেছেন তিনি।
পাল্টা রাজ্যপালের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল তৃণমূল। তৃণমূলের মুখপাত্র পার্থপ্রতিম রায়ের পাল্টা বক্তব্য, ‘‘এক জন বিজেপি নেতা ও রাজ্যপালের মধ্যে কোনও পার্থক্য দেখা যাচ্ছে না! রাজ্যপাল সাংবিধানিক পদের অবমাননা করছেন। তাঁর বিরুদ্ধে রাজভবনের এক জন মহিলা কর্মী অভিযোগ তুলেছিলেন। সে ক্ষেত্রে তাঁর এমন বিষয়ে বক্তব্য রাখার নৈতিকতা রয়েছে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। একটি পরিবারিক বিষয় নিয়ে রাজনীতির চেষ্টা হচ্ছে।’’