ছবি পিটিআই।
নির্ঘণ্টের ছ’দিন আগেই বর্ষা হুড়মুড়িয়ে আন্দামানে ঢুকে পড়েছে। সে এখনই বঙ্গে না-এলেও আপাতত বাংলার বৃষ্টিভাগ্য সুপ্রসন্ন বলেই মনে করছেন আবহবিদেরা। তাতে গ্রীষ্মের শেষ লগ্নে দহনের দাপট থেকে অনেকাংশে মুক্তি মিলতে পারে।
আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, আগামী দিন দুয়েক উত্তরবঙ্গের পাহাড় ও ডুয়ার্সের জেলাগুলিতে ভারী বৃষ্টি হতে পারে। আলিপুরদুয়ার ও কোচবিহারে অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কতা দেওয়া হয়েছে। ওই দুই জেলায় ভারী বৃষ্টি এখন চলতে পারে বলে আবহবিজ্ঞানীরা মনে করছেন। বঞ্চিত হবে না দক্ষিণবঙ্গও। আগামী দিন দুয়েক গাঙ্গেয় বঙ্গের প্রায় সব জেলায় বিক্ষিপ্ত ভাবে ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস। তারা জানাচ্ছে, বৃষ্টি হবে উত্তরবঙ্গের দুই দিনাজপুর, মালদহেও। আবহবিজ্ঞানীদের ব্যাখ্যা, সদ্য বিদায় নেওয়া ঘূর্ণিঝড় ‘অশনি’র প্রভাবে বঙ্গোপসাগর থেকে পশ্চিমবঙ্গের পরিমণ্ডলে প্রচুর জলীয় বাষ্প ঢুকেছে। তার ফলেই আকাশ মেঘলা থাকছে এবং সন্ধ্যার পরে ঝড়বৃষ্টি হচ্ছে।
মৌসম ভবন সোমবার জানিয়েছে, সময়ের আগেই হাজির হয়ে বর্ষা এ দিন আন্দামান-নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের বেশির ভাগ এলাকাতেই ছড়িয়ে পড়েছে। আগামী কয়েক দিনে বঙ্গোপসাগরের আরও কিছু এলাকা মৌসুমি বায়ুর আওতায় চলে আসবে। তবে বর্ষার এই শাখা মূল ভারতীয় ভূখণ্ডে সরাসরি ঢোকে না। তার ফলে বর্ষা আপাতত বঙ্গে আসছে না। বর্ষার যে-শাখাটি বাংলায় আসে, তা এ দেশে ঢোকে কেরল দিয়ে। নির্ঘণ্ট অনুযায়ী কেরলে বর্ষা ঢোকার কথা ১ জুন। তবে মৌসম ভবনের খবর, কেরলে এ বার বর্ষা ঢুকতে পারে ২৭ মে নাগাদ।
মৌসম ভবনের নির্ঘণ্ট অনুযায়ী বঙ্গে বর্ষা পৌঁছনোর স্বাভাবিক তারিখ ১০ জুন। কেরলে এ বার আগেভাগে ঢুকলেও বর্ষা সেই ধারা বজায় রেখে কিছুটা আগে বঙ্গেও হাজির হবে কি না, তা এখনই বলা সম্ভব নয় বলে জানাচ্ছেন আবহবিজ্ঞানীরা। তাঁদের ব্যাখ্যা, কেরলে বর্ষা ঢোকার পরে দক্ষিণ ভারত থেকে ধাপে ধাপে পূর্ব ভারতে তার আগমনের জন্য আবহাওয়ার কয়েকটি অনুষঙ্গকেই অনুকূল পরিস্থিতি তৈরি করতে হয়। সেগুলি উল্টে বাধা সৃষ্টি করলে বর্ষার দেরি হতে পারে। তাই বর্ষা কেরল পেরিয়ে ক্রমশ উত্তরের দিকে এগোলে তবেই এ ব্যাপারে কিছু বলা সম্ভব।