—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি
গভীর নিম্নচাপ আরও দুর্বল হয়ে নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। উপগ্রহ চিত্র বিশ্লেষণ করে আবহাওয়া দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, সেটি মধ্য ওড়িশা হয়ে উত্তর ছত্তীসগঢ়ের দিকে এগোচ্ছে। তবে বঙ্গোপসাগরের উপরে তৈরি হওয়া নিম্নচাপ দুর্বল হলেও মঙ্গলবার রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় বিক্ষিপ্ত ভাবে হালকা এবং মাঝারি বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে ছয় জেলায়।
এই ছ’টি জেলা হল পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া, পূর্ব বর্ধমান, পশ্চিম বর্ধমান এবং বীরভূম। বুধবার ভারী বৃষ্টির সতর্কতা রয়েছে দুই ২৪ পরগনা এবং পূর্ব মেদিনীপুরে। বৃহস্পতিবার ভারী বৃষ্টি হতে পারে উত্তর ২৪ পরগনা, পূর্ব বর্ধমান, পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ, নদিয়ায়। তার পরে আপাতত দক্ষিণবঙ্গে ভারী বৃষ্টির সতর্কতা নেই। উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতেও বিক্ষিপ্ত ভাবে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে। মঙ্গলবার বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সতর্কতা রয়েছে কোচবিহার, উত্তর দিনাজপুর, জলপাইগুড়ি এবং মালদহে। বুধবার ভারী বৃষ্টি হতে পারে দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কালিম্পং এবং আলিপুরদুয়ার জেলায়।
পশ্চিম-মধ্য এবং উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে যে নিম্নচাপ ছিল, তা গত ২৪ ঘণ্টায় ক্রমে উত্তর-পশ্চিম দিকে এগিয়েছে। গতি ছিল ঘণ্টায় সাত কিলোমিটার। সোমবার আরও ঘনীভূত হয়ে নিম্নচাপটি পরিণত হবে গভীর নিম্নচাপে। তবে সোমবার রাতে সেটির শক্তিক্ষয় হয়। মধ্যরাতে সেটি ভুবনেশ্বর থেকে ১০০ কিলোমিটার উত্তর-পূর্বে অবস্থান করছিল। ক্রমশ দুর্বল হতে হতে নিম্নচাপটি পশ্চিম এবং উত্তর-পশ্চিম দিকে এগোচ্ছে। মঙ্গলবারই সেটি উত্তর ছত্তীসগঢ়ে প্রবেশ করবে মনে করছেন আবহবিদেরা।
নিম্নচাপের কারণে সমুদ্রের উপর ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৫৫ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইছে। ওড়িশা এবং পশ্চিমবঙ্গ উপকূলে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। হাওয়ার বেগ আরও বাড়তে পারে সোমবার। আগামী ১১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে।