পুজোর মধ্যে কলকাতায় বৃষ্টির পূর্বাভাস। —ফাইল চিত্র।
আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, কলকাতায় বৃষ্টি শুরু হয়ে গিয়েছে। নবমীর বেলা গড়াতেই ভিজেছে দক্ষিণ কলকাতার বেশ কিছু এলাকা। হাওয়া অফিস জানিয়েছে, কলকাতা ছাড়াও বৃষ্টি হতে পারে দক্ষিণ ২৪ পরগনা, উত্তর ২৪ পরগনা এবং পূর্ব মেদিনীপুরের কয়েকটি এলাকায়। সোমবার বেলা ১২টা নাগাদ আবহাওয়ার বুলেটিনে দু’এক ঘণ্টার মধ্যে বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছিল। তার পরেই বৃষ্টি নামে কিছু কিছু এলাকায়।
নবমী থেকে দক্ষিণবঙ্গে যে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে, আগেই সে কথা জানিয়েছিল আলিপুর। বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া নিম্নচাপটি ইতিমধ্যে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। তা ধীরে ধীরে স্থলভাগের দিকে এগোচ্ছে। মৌসম ভবন জানিয়েছে, এই নিম্নচাপ থেকে সোমবার সন্ধ্যার মধ্যেই ঘূর্ণিঝড় তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তার প্রভাবে কলকাতা-সহ কিছু কিছু এলাকায় নবমী থেকে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছিলেন আবহবিদেরা। পূর্বাভাস মিলিয়েই বৃষ্টি শুরু হল শহরে।
হাওয়া অফিস সোমবার সকালে জানিয়েছে, বিক্ষিপ্ত ভাবে চারটি জেলার কিছু এলাকায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি হতে পারে। এই সময়ের মধ্যে সকলকে নিরাপদে থাকার পরামর্শও দিয়েছেন আবহবিদেরা।
অষ্টমী পর্যন্ত কলকাতার আবহাওয়া শুকনোই ছিল। কোথাও বৃষ্টি হয়নি। খটখটে রোদ মাথায় নিয়েই চুটিয়ে আনন্দ করেছেন সকলে। নবমীতে অবশ্য আকাশের মুখ ভার। সকালে কোথাও কোথাও রোদ উঠলেও বেলা গড়াতেই তা মেঘের চাদরে ঢেকে গিয়েছে।
বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপের গতিবিধির দিকে অনবরত নজর রাখছে আলিপুর। সোমবার সকালে এই ঘূর্ণিঝড়টি উত্তর এবং উত্তর-পূর্ব দিকে বাঁক নিয়ে বাংলাদেশ উপকূলের খেপুপাড়া এবং চট্টগ্রামের মধ্যবর্তী এলাকার দিকে এগিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব তিন দিন বজায় থাকতে পারে। বুধবার বিকেল নাগাদ ঘূর্ণিঝড় শক্তি হারিয়ে আবার গভীর নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস।