রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়। ফাইল চিত্র।
চূড়ান্ত সিমেস্টারের পরীক্ষা নেওয়ার নৈতিক অধিকার শিক্ষকদের আছে কি না, প্রশ্ন তুলল রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি। তাদের বক্তব্য, ক্লাসে এই সিমেস্টারের পাঠ্যক্রমের প্রায় কিছুই পড়ানো সম্ভব হয়নি। বিভিন্ন সাধারণ পত্রের সামান্য কিছু পড়ানো হয়েছে, কিন্তু বিশেষ পত্রের অনেক কিছুই লকডাউনের আগে শুরু করা যায়নি। অনলাইন ক্লাসে অর্ধেকেরও বেশি ছাত্রছাত্রী যোগ দিতে পারেননি। দৃশ্যকলার মতো হাতে ধরে শেখানোর ক্লাস করতে পারেননি তাঁরা।
‘‘এই পরিস্থিতিতে পরীক্ষা নিলে তা প্রহসন ছাড়া আর কিছুই হবে না,’’ বলেন ওই শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক দেবব্রত দাস। তাঁরা চান, সুপ্রিম কোর্টের আদেশ মেনে বা ইউজিসি-র সঙ্গে কথা বলে সরকার পুজোর পরে অফলাইনে পরীক্ষার ব্যবস্থা করুক। এখন একান্তই যদি পরীক্ষা নিতে হয়, তা যেন হোম অ্যাসাইনমেন্ট বা প্রজেক্ট-ভিত্তিক হয়। সমিতি এই বিষয়ে শুক্রবার রাতে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং উপাচার্য সব্যসাচী বসু রায়চৌধুরীকে চিঠি দিয়েছে। সব্যসাচীবাবু শনিবার জানান, এ দিন কলা ও ললিতকলা ফ্যাকাল্টির বিভাগীয় প্রধানদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন তিনি। সেখানে মাল্টিপল চয়েস কোয়েশ্চেন বা এমসিকিউ পদ্ধতিতে পরীক্ষা নেওয়ার বিষয়টি ওঠে। তবে অনেকেই একমত হননি। উপাচার্য জানান, এর পরে এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মসমিতি।