প্রতীকী ছবি।
দলের একেবারে কেন্দ্রীয় স্তর থেকে বয়স-নীতি চালু করেছে সিপিএম। আসন্ন পার্টি কংগ্রেসেও সেই নীতি কেন্দ্রীয় কমিটির ক্ষেত্রে কার্যকর হতে চলেছে। দলের সেই বয়স-নীতি নিয়েই জোরালো ভিন্ন মত উঠে এল সিপিএমের কলকাতা জেলা সম্মেলনে।
দলীয় সূত্রের খবর, প্রমোদ দাশগুপ্ত ভবনে শুক্রবার সিপিএমের ২৫তম কলকাতা জেলা সম্মেলনের দ্বিতীয় দিন বয়স-নীতির যৌক্তিকতা নিয়ে সরব হয়েছেন একাধিক প্রতিনিধি। তাঁদের একাংশের মত, শাখা বা লোকাল স্তরের মতো নিচু তলার কমিটিতে অনেক বেশি কাজ করতে হয়। উপরের দিকে কমিটির সদস্যদের জন্য শারীরিক পরিশ্রম অত নয়। তা হলে উপরের দিকে কমিটিতে বয়সের সীমারেখা টেনে লাভ কী? কারও কারও প্রশ্ন, কেন্দ্রীয়, রাজ্য এবং জেলা কমিটির ক্ষেত্রে বয়সের ঊর্ধ্বসীমা এক এক রকম কোন যুক্তিতে? প্রতিনিধিদের অনেকেরই বক্তব্য, রাজনৈতিক কর্মীদের জন্য যান্ত্রিক ভাবে বয়সের সীমা বেঁধে দেওয়া যায় না।
বিধানসভা নির্বাচনে ‘সংযুক্ত মোর্চা’ গড়ে যে লা্ভ হয়নি, সে কথা বলা হয়েছে জেলা সম্মেলনের রাজনৈতিক ও সাংগঠনিক প্রতিবেদনেই। সম্মেলনে প্রতিনিধিদের মধ্যে অনেকের বক্তব্যেও সেই সুর উঠে আসছে। আইএসএফের সঙ্গে জোটের কারণ মানুষকে বোঝানো যায়নি বলে মত দিয়েছেন তাঁদের একাংশ। কংগ্রেসের সঙ্গে আসন-ভাগ নিয়ে শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত অনিশ্চয়তা নিয়েও ক্ষোভ উঠে এসেছে একাংশের বক্তব্যে। তিন দিনের সম্মেলন শেষ হবে আজ, শনিবার।