দূষণ: আগাছা কেটে পোড়ানো হল জমিতেই। ছবি: দীপঙ্কর দে
ঘোষণামতো সোমবার থেকে সিঙ্গুরের সেই জমিকে (টাটাদের কারখানার জন্য একসময়ে যে জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছিল) দ্বিতীয় দফায় ‘চাষযোগ্য’ করতে নামল প্রশাসন। কিন্তু যে ভাবে আগাছা কেটে তা ওই জমিতেই জ্বালিয়ে দেওয়া হল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠে গেল।
আগাছা বা খড় যাতে চাষজমিতে পোড়ানো না-হয়, তা নিয়ে পরিবেশবিদরা বারবারই সতর্ক করছেন। এ থেকে শুধু বায়ু দূষণ নয় জমিরও মারাত্মক ক্ষতি হয় বলে তাঁরা জানিয়েছেন। পরিবেশবিদদের মতে, ওই আগুনের জেরে জমি শক্ত হয়ে যায়। জমিতে চাষের সহায়ক ব্যাঙ, কেঁচো এবং নানা বন্ধু-পোকা মারা যায়।
এ দিন সাধারণ গ্রামবাসীদের সঙ্গে নিয়ে আগাছা নির্মূল করতে নেমেছিলেন কৃষি দফতরের নিয়োগ করা লোকজন। ওই জমির বিভিন্ন অংশে কেটে রাখা আগাছায় কেরোসিন ছিটিয়ে তাঁদের আগুন লাগাতে দেখা গেল। জেলা কৃষি দফতরের এক কর্তা অবশ্য বলেন, ‘‘এমনটা হওয়ার কথা নয়। ওখানে আমাদের দফতরের অফিসাররা রয়েছেন। বিষয়টি তাঁদের দেখার কথা। কী হয়েছে খোঁজ নিচ্ছি। আগাছা সাফ করতে আরও কয়েক দিন লাগবে। তার পরে পরবর্তী প্রক্রিয়া শুরু হবে।’’
প্রায় দেড় বছর ধরে ওই জমি ঢেকে ছিল উলুখাগড়া আর আগাছায়। জমে ছিল নোংরা জলও। ফলে, চাষ করতে নামতে পারেননি চাষিরা। এতদিন বাদে ওই জমিকে দ্বিতীয় দফায় ‘চাষযোগ্য’ করতে প্রশাসনিক উদ্যোগকে তাঁরা স্বাগত জানিয়েছেন। এ দিন সকাল থেকে আগাছা সাফ শুরু হতেই বহু গ্রামবাসী ভিড় জমান। ওই কাজে তাঁরাও হাত লাগান।