প্রথমে জানতে চাওয়া হয়েছিল, কত বছর ধরে রাজ্য সরকারি কর্মীদের ঠিক কত ডিএ বা মহার্ঘ ভাতা বকেয়া আছে। কলকাতা হাইকোর্ট এ বার জানতে চাইল, রাজ্যের ‘রিভিশন অব পে অ্যান্ড অ্যালাওয়েন্সেস’ (রোপা, ২০০৯) আইন অনুযায়ী মহার্ঘ ভাতা বকেয়া আছে কি না।
বিচারপতি দেবাশিস করগুপ্ত ও বিচারপতি শেখর ববি শরাফের ডিভিশন বেঞ্চ বৃহস্পতিবার রাজ্য সরকারি কর্মী সংগঠনের কৌঁসুলিকে নির্দেশ দিয়েছে, ডিএ বকেয়া থাকলে কত শতাংশ বা কত টাকা বাকি, তা আদালতকে জানাতে হবে। একই সঙ্গে ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, কেন্দ্রীয় সরকার যে-হারে তাদের কর্মীদের ডিএ দেয়, রাজ্যের সরকারি কর্মীদের সেই হারে ডিএ দেওয়া হবে কি না, তা আদালত পরে বিচার করবে।
ডিএ মামলার শুনানিতে কর্মী সংগঠনের কৌঁসুলি সর্দার আমজাদ আলি এ দিন আদালতে জানান, রোপা আইন মেনে রাজ্য ডিএ দিলেও কেন্দ্রের হারের সঙ্গে তাল মিলিয়ে রাজ্য নিজের কর্মীদের তা দিচ্ছে না। রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল (এজি) কিশোর দত্ত জানান, সরকারি কর্মীদের ডিএ বাকি নেই। যদি ধরে নেওয়া নেওয়া হয় কারও ‘বেসিক পে’ বা মূল বেতন ১০০ টাকা, তা হলে ১০০ টাকা ডিএ দেওয়া হয়েছে। তার উপরে আরও ১০ টাকা দেওয়া হচ্ছে ‘অন্তর্বর্তিকালীন’ ভাতা হিসেবে।
বিচারপতি শরাফ এ দিন কর্মী সংগঠনের কৌঁসুলিকে বলেন, ‘‘ডিএ-র টাকা মেটাতে রাজ্য দেরি করেছে বলে যে-অভিযোগ উঠেছে, তা উড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে না।
কিন্তু দেরি হলেও যে-হারে মেটানো হবে বলে রাজ্য সরকার বিজ্ঞপ্তি দিয়েছিল, সেই হারে ডিএ দেওয়ার পরে বকেয়া কিছু রয়েছে কি না, সেটা আগে আদালতকে জানান।’’ বিচারপতি করগুপ্তও জানান, কেন্দ্র যে-হারে তাদের কর্মীদের ডিএ দেয়, রাজ্য সরকারেরও সেই হারে ডিএ দেওয়া উচিত কি না, তার বিচার পরে হবে।