প্রশান্ত কিশোর। —ফাইল ছবি
চলতি বছরেই রয়েছে পুরভোট। তার পরেই ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনের দামামা বেজে যাবে। এমন গুরুত্বপূর্ণ সময়ে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় পিকের টিমের কাজ চোখে পড়ছে না বলে তৃণমূলের নেতাদের একাংশের দাবি। তাঁদের কথায়, রাজ্যের অন্য জেলায় যেখানে পিকের টিমের হোম ওয়ার্ক সামলাতে নেতাদের কাল ঘাম ছুটছে সেখানে এই জেলায় তাদের ভূমিকা তত সক্রিয় নয়। যদিও জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব এমন দাবি মানছেন না। তাঁদের দাবি, পিকের টিম ভালই কাজ করছে।
জনসংযোগ বাড়িয়ে দলের সাংগঠনিক শক্তি বাড়াতে জেলায় জেলায় কাজ করছেভোট কুশলী প্রশান্ত কিশোরের (পিকে) টিম। তাদের তৈরি ব্লুপ্রিন্ট দেখেই দলের নেতারা বাড়ি বাড়ি ঘুরছেন। তার রিপোর্ট তৈরি করে পাঠানো হচ্ছে দলের শীর্ষ মহলে। কিন্তু এ জেলায় তাদের কাজে সন্তুষ্ট নন দলের নেতাদের একাংশের। তাঁদের দাবি, এখানে পিকের টিমে যাঁরা রয়েছেন তাঁরা সঠিক ভাবে কাজ করছেন না। ফলে শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে সঠিক বার্তাও পৌঁছচ্ছে না। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক জেলা নেতা বলেন, ‘‘পিকের টিমের যাঁরা এখানে রয়েছেন, তাঁরা বিশেষ কয়েক জনের সঙ্গেই ঘুরে বেড়াচ্ছেন। সেই কয়েক জন তাঁদের যা রিপোর্ট দিচ্ছেন, সেটাই উপরে পাঠানো হচ্ছে। আর রাত হলেই পিকনিক করা হচ্ছে। এই ভাবে কাজ করলে সংগঠন শক্তিশালী হবে না।’’
সূত্রের খবর, জেলার যে কয়েক জন কলেজ পড়ুয়া যুবক সোশ্যাল মিডিয়া সেলের সঙ্গে যুক্ত আছেন তাঁদের সঙ্গে পিকের টিম কাজ করছে। তাঁরা যেখানে নিয়ে যাচ্ছেন, সেখানে যাচ্ছে পিকের টিম। অভিযোগ, যোগাযোগ করা হচ্ছে না দলের প্রবীণ নেতাদের সঙ্গে। ফলে সঠিক তথ্য ও খবর শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে পৌঁছচ্ছে না। তাঁদের কথায়, ‘‘জেলার কয়েক জন প্রথমসারির নেতা যেভাবে ঠিকাদারদের দিয়ে দল চালাচ্ছে, পিকের টিম ঠিক মতো কাজ করলে সেই রিপোর্ট দলের শীর্ষ মহলের কাছে পৌঁছে যেত। তা না পৌঁছনোয় জেলায় দলের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে।’’ পুরভোটে এর প্রভাব পড়বে বলেই তাঁদের দাবি।
যদিও জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব এমন অভিযোগ মানতে চাননি। তৃণমূলের জেলা সভাপতি অর্পিতা ঘোষ বলেন, ‘‘আমাদের জেলায় পিকের টিম ভালই কাজ করছে। কী ভাবে কাজ করছে সেই কৌশল বলার বিষয় নয়। তবে তারা সমীক্ষা করে আমাদের সঠিক রিপোর্টই দিচ্ছে। সেই অনুযায়ী প্রচারও করা হচ্ছে।’’ এখন দেখার আসন্ন পুরভোটের আগে কী কৌশল নেয় টিম পিকে।