West Bengal Joint Entrance Examination

গরমেই কি কম জয়েন্টের পরীক্ষার্থী

সিস্টার নিবেদিতা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানাচ্ছেন, তাঁদের ৪৬৫ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে এসেছেন, ২৫১ জন। ৫৩ শতাংশ পরীক্ষার্থী পরীক্ষা দিয়েছেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৯ এপ্রিল ২০২৪ ০৭:২১
Share:

—প্রতীকী ছবি।

নির্বিঘ্নে শেষ হল রাজ্য জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষা। কিন্তু কলকাতার বেশ কিছু পরীক্ষা কেন্দ্রের প্রধানেরা জানাচ্ছেন, পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল অন্য বারের থেকে অনেকটা কম। তীব্র গরম না অন্য কারণে পরীক্ষার্থীরা আসেননি তা অবশ্য বলতে পারেননি পরীক্ষাকেন্দ্রের প্রধান শিক্ষকেরা। তবে তাঁরা জানিয়েছেন, পরীক্ষার্থীদের জন্য পরীক্ষাকেন্দ্রে পর্যাপ্ত ঠাণ্ডা পানীয় জল, ওআরএস সবই মজুত ছিল।

Advertisement

বাঙুরের নারায়ণ দাস বাঙুর মেমোরিয়াল মাল্টিপারপাস স্কুলের প্রধান শিক্ষক সঞ্জয় বড়ুয়া বলেন, ‘‘আমাদের স্কুলে ৩৩৫ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ২১৪ জন পরীক্ষা দিতে এসেছিলেন। ৬৩ শতাংশের মতো পরীক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন। তীব্র গরমেই উপস্থিতির এত কম কি না সেই প্রশ্ন আমাদেরও।’’

সিস্টার নিবেদিতা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানাচ্ছেন, তাঁদের ৪৬৫ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে এসেছেন, ২৫১ জন। ৫৩ শতাংশ পরীক্ষার্থী পরীক্ষা দিয়েছেন। ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘এই অনুপস্থিত থাকার প্রবণতা কিন্তু গত বারও ছিল। তবে এ বারের মতো এত কম অনুপস্থিতি আগে হয়নি।’’ দমদম পার্কের কৃষ্ণপুর আদর্শ বিদ্যামন্দিরের প্রধান শিক্ষক সুশান্ত খান বলেন, ‘‘আমাদের পরীক্ষাকেন্দ্রে ৭০০ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ৪১৬ জন।’’ যাদবপুর বিদ্যাপীঠের প্রধান শিক্ষক পার্থপ্রতিম বৈদ্য বলেন, ‘‘ আমাদের কেন্দ্রে দুই অর্ধে ৬৫০ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে প্রথম অর্ধে ৪৭৮ জন এবং দ্বিতীয় অর্ধে ৪৮৪ জন আসেন। পরীক্ষার্থীর সংখ্যা অন্য বারের থেকে কম।’’ তবে হিন্দু স্কুলে পরীক্ষার্থী স্বাভাবিক বলে জানিয়েছেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক শুভ্রজিৎ দত্ত। তিনি বলেন, ‘‘মোট ৪৮০ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে প্রথম অর্ধে ৪৩৪ জন এবং দ্বিতীয় অর্ধে ৪৩৬
জন এসেছেন।’’

Advertisement

জয়েন্ট এন্ট্রান্স বোর্ডের চেয়ারম্যান মলয়েন্দু সাহা বলেন, ‘‘পরীক্ষা শান্তিপূর্ণ ভাবে হয়েছে। রাজ্য প্রশাসন, স্থানীয় প্রশাসন সহয়োগিতা করেছে। তাঁরা যদি পাশে না থাকতেন, এই দুর্বিষহ আবহাওয়ায় আমাদের পক্ষে পরীক্ষা নেওয়া কঠিন হতো। সরোজিনী নাইডু কলেজে একজন পরীক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। তাঁকে সঙ্গে সঙ্গে পরিচর্যা করা হয়েছে। ৩২৮টি পরীক্ষাকেন্দ্রে পরীক্ষা হয়েছে। এক লক্ষ ৪৩ হাজারের মতো পরীক্ষার্থী পরীক্ষার জন্য আবেদন করেছিলেন।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement