মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফাইল চিত্র।
শিক্ষা দফতর মঙ্গলবার ঘোষণা করেছিল, গরমের ছুটির পরে স্কুল খুলবে ৫ জুন। ২৪ ঘণ্টা কাটতে না-কাটতেই সেই সিদ্ধান্ত পাল্টে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বুধবার নবান্নে জানালেন, স্কুল খুলছে ১৫ জুন। তীব্র গরমের জন্যই গরমের ছুটি ১৪ জুন পর্যন্ত বাড়ানো হল বলে জানান তিনি। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সিদ্ধান্ত বদলে যাওয়ায় প্রশ্ন উঠছে, শিক্ষা দফতর ও সরকারের মধ্যে কি তা হলে কোনও সমন্বয় নেই? এক দিনে গরমের পরিস্থিতি কী এমন পাল্টাল যে, ফের বাড়িয়ে দিতে হলগরমের ছুটি?
মমতা বলেন, ‘‘তাপপ্রবাহ এখনও থাকবে। ৫ এবং ৭ জুন স্কুল খোলার কথা ছিল। পরিবর্তে তা খুলবে ১৫ জুন।’’ অর্থাৎ ১৪ জুন পর্যন্ত স্কুল বন্ধ থাকবে। শুধু সরকারি বা সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুল নয়, বেসরকারি স্কুলগুলিকেও ওই দিন পর্যন্ত ছুটি দিতে অনুরোধ করেছেন তিনি।
শিক্ষক শিবিরের একাংশের অভিযোগ, সমন্বয় না-থাকায় বার বার সিদ্ধান্ত বদল হচ্ছে। মাধ্যমিক শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতির নেতা অনিমেষ হালদার বলেন, “এটাও প্রমাণ হল যে, শিক্ষা দফতরের স্বাধীন ভাবে কাজ করার কোনও এক্তিয়ারই নেই।’’ পশ্চিমবঙ্গ সরকারি বিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সৌগত বসুর প্রশ্ন, তা হলে কি সরকারের অনুমোদন ছাড়াই বিজ্ঞপ্তি দিচ্ছে শিক্ষা দফতর? বঙ্গীয় প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আনন্দ হাণ্ডা বলেন, “গরমের অজুহাতে বার বার ছুটি বৃদ্ধি নিশ্চিত ভাবেই শিক্ষার স্বার্থবিরোধী এবং অনৈতিক। মুখ্যমন্ত্রী আলোচনা ছাড়াই যে-ভাবে ছুটি ঘোষণা করছেন, তা অগণতান্ত্রিক এবং চূড়ান্ত খামখেয়ালিপনা।”