ফাইল চিত্র।
গত নভেম্বরে পূর্ত দফতরের পুনর্গঠনের জন্য রাজ্য মন্ত্রিসভায় একটি প্রস্তাব পাশ হলেও এখনও সেটি কার্যকর হয়নি। উপরন্তু পূর্ত দফতরের সর্বোচ্চ পর্যায়ে সাতটি ক্যাডার-পদ খালি থাকায় কাজকর্মে অচলাবস্থা দেখা দিচ্ছে। অভিযোগ, ইঞ্জিনিয়ার-ইন-চিফের পদ এবং চিফ ইঞ্জিনিয়ারের ছ’টি পদ খালি থাকা সত্ত্বেও সেখানে ক্যাডার পোস্টে লোক দেওয়া হয়নি। অতি সম্প্রতি এক্স-ক্যাডার পদে দু’জন চিফ ইঞ্জিনিয়ার অবসরের পরে ‘এক্সটেনশন’ বা পুনর্নিয়োগের সুযোগ পাওয়ায় পূর্ত দফতরের ইঞ্জিনিয়ার মহলে প্রচণ্ড ক্ষোভ ও হতাশার সৃষ্টি হয়েছে।
শনিবার সল্টলেকে স্টেট ইঞ্জিনিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের শততম বার্ষিক সাধারণ সভায় সেই ক্ষোভের কথা উঠে আসে। করোনা পরিস্থিতির জন্য শতাব্দী-প্রাচীন এই সংগঠনের বার্ষিক সভায় রাজ্যের পূর্ত ও সেচ বিভাগের সব ইঞ্জিনিয়ার-সদস্য শারীরিক ভাবে উপস্থিত থাকতে না-পারলেও ভিডিয়ো-সম্মেলনের মাধ্যমে ওই সভায় যোগ দেন।
অভিযোগ উঠছে, এত ক্যাডার-পদ পূরণ না-হওয়ায় অনেক ইঞ্জিনিয়ারের পদোন্নতি আটকে গিয়েছে এবং পাবলিক সার্ভিস কমিশন বা পিএসসি-র মাধ্যমে পূর্ত দফতরের অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ারের পদে নতুন পাশ করে বেরোনো ছেলেদের নিয়োগের ক্ষেত্রেও প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হয়েছে। অবসরের পরে পুনর্নিযুক্ত ইঞ্জিনিয়ারদের হাত দিয়ে দফতরের কোটি কোটি টাকা খরচ করা হচ্ছে কেন, উঠছে সেই প্রশ্নও। ৮ ডিসেম্বর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি দিয়ে ক্যাডার পোস্টে পুনর্নিয়োগ বন্ধ করার আবেদন জানানো হয়। ‘‘আমরা সরকারের যে-কোনও নির্দেশ পালন করতে তৈরি আছি। সরকার যদি আমাদের দাবিগুলি সহানুভূতির সঙ্গে একটু দেখেন তো আমরা এবং আমাদের পরিবার উপকৃত হই,’’ বলেন সংগঠনের নবনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক রাজীব বিশ্বাস।