খন্দপথ। বিষ্ণুপুরে তোলা নিজস্ব চিত্র।
একপাশে বিষ্ণুপুর বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন জনবহুল অহল্যা বাঈ রোড, অন্য পাশে বৈলাপাড়া রবীন্দ্র স্ট্যাচু থেকে বিডিও অফিস যাওয়ার রাস্তা। এই দু’টি গুরুত্বপূর্ণ রাস্তার সঙ্গে সংযোগ রক্ষাকারী রসিকগঞ্জের ভিতর দিয়ে যাওয়া রাস্তাটির অবস্থা অত্যন্ত বেহাল। পিচ উঠে ছোট-বড় গর্তের আকার নিয়েছে। সামান্য বৃষ্টিতেই জমছে জল। অনেকেই দুর্ঘটনার কবলে পড়ছেন।
বাসিন্দারা জানান, এই রাস্তাটির পাশেই শিশু উদ্যান, স্টেডিয়াম ও কংসাবতী সেচ দফতর, ভারত সঞ্চার নিগম এবং সাব রেজিস্ট্রি অফিস রয়েছে। ফলে অফিসযাত্রী ছাড়াও দৈনন্দিন বহু মানুষের আসা-যাওয়া এই রাস্তা দিয়ে। পথচারী ও বাসিন্দাদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন রাস্তাটি মেরামত করা হয়নি। অথচ পুরসভার কর্তাব্যক্তি ও প্রশাসনের আধিকারিকরাও অনেক সময় এই রাস্তা ধরে যাতায়াত করেন। এই রাস্তা দিয়ে যেতে সবাই অসুবিধায় পড়ছেন। কিন্তু প্রশাসনের আধিকারিক ও জনপ্রতিনিধিরা রাস্তাটি সংস্কারের ব্যাপারে একেবারেই উদাসীন।
বাসিন্দাদের ক্ষোভ, এরকমই শহরের কিছু রাস্তা পুজোর আগেও মেরামত করা হয়নি। তার উপরে সামনে পর্যটনের মরসুম। অথচ এই সব রাস্তা খানাখন্দে ভরে থাকলে এ বার পর্যটকদেরও অসুবিধায় পড়তে হবে। তাঁরা এ নিয়ে বিরক্ত হলে আখেরে বিষ্ণুপুরের ভাবমূর্তি নষ্ট হবে। তার প্রভাব পড়তে পারে বিষ্ণুপুরের পর্যটন শিল্পে। বিষ্ণুপুরের ঐতিহ্য নিয়ে যাঁরা ভাবিত এই শহরের তেমনই কয়েকজন বাসিন্দার প্রশ্ন, অন্য রাজ্যের পর্যটন কেন্দ্রগুলিতে প্রশাসন রাস্তা, পরিবহণ মাধ্যম-সহ কয়েকটি জরুরি বিষয় নিয়ে সজাগ থাকে। কিন্তু বিষ্ণুপুর ওই পর্যটন কেন্দ্রগুলির মতো কী ভাবে গড়ে উঠবে?
বিষ্ণুপুরের পুরপ্রধান তথা রাজ্যের মন্ত্রী শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় অবশ্য আশ্বাস দিয়েছেন, “শহরের কিছু রাস্তা বর্ষায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আমরা শীঘ্রই সংস্কারের কাজে হাত দেব।”