একশো দিন প্রকল্পে কাজ করেও ১১ মাস টাকা পাননি তাঁরা। এর প্রতিবাদে সোমবার বেশ কিছু জবকার্ডধারী রাজনগর পঞ্চায়েতের প্রধান ও কর্মীদের কার্যালয়ে আটকে রেখে বিক্ষোভ দেখান। খবর পেয়ে রাজনগর ব্লক থেকে দুই আধিকারিক ঘটনাস্থলে আসেন। তাঁদেরও আটকে দেন বিক্ষোভকারীরা। শেষ পর্যন্ত রাজনগরের যুগ্ম বিডিও শঙ্খ ঘটক এসে বিক্ষোভকারীদের আশ্বস্ত করলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। তবে বিক্ষুব্ধরা একমাস সময়কাল বেঁধে দিয়েছেন। এর মধ্যে প্রাপ্ত টাকা না পেলে ফের একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তাঁরা।
বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, পঞ্চায়েতের অন্য সংসদের জবকার্ডধারীরা টাকা পেলেও আড়ালি, ছোটবাজার, বড়বাজার ও খোদাইবাগ-সহ রাজনগরের চারটি সংসদের কয়েকশো শ্রমিক যাঁদের পোস্টঅফিসে অ্যাকাউন্ট রয়েছে তাঁরা দীর্ঘ ১১ মাস টাকা পাননি। বিক্ষোভে সামিল ইসলাম খান, জালাল খান শেখ, রকিব হামিদ শেখরা বলেন, “পঞ্চায়েত ও প্রশাসনের গাফিলতিতেই সমস্যা হচ্ছে। আমাদের মূলত তিনটি দাবি ছিল. এক পোস্টঅফিসের মাধ্যমেই টাকা দিতে হবে। খুব শীঘ্রই দিতে হবে এবং যতদিন না আমাদের চারটি সংসদের জবকার্ডধারীরা প্রাপ্ত টাকা পাচ্ছেন না ততদিন অন্য সংসদেও এই প্রকল্পে কাজ করাতে পারেবে না পঞ্চায়েত। এক মাসের মধ্যে আমরা টাকা যাতে পাই যুগ্ম বিডিও তা দেখার আশ্বাস দিয়েছেন। তার পরই আমরা পঞ্চায়েত খুলে দিই।” রাজনগরের তৃণমূল প্রধান রুবি মারান্ডি অভিযোগের সত্যতা মেনে নিলেও কেন টাকা পাচ্ছেন না ওই চারটি সংসদের জবকার্ডধারীরা সে বিষয়ে স্পষ্ট কিছু জানাতে পারেননি। যোগাযোগ করা যায়নি যুগ্ম বিডিও’র সঙ্গেও। তবে রাজনগরের বিডিও আসেক রহমান বলেন, “ওঁরা টাকা পাননি এই অভিযোগ ঠিক। প্রথমত সম্পূর্ণ টাকা আসেনি এবং আংশিক টাকা এসেও পোস্টঅফিসের দীর্ঘসূত্রিতার জন্য তা হাতে পাননি জবকার্ডধারীরা। সেটা যাতে শীঘ্রই ওঁরা পান দেখছি।”