বই বিক্রি বাড়াতে এ বার বই কেনার বাজেট আরও বাড়ালো বাঁকুড়া জেলা গ্রন্থাগার। গত বছর বাঁকুড়া বইমেলা থেকে মোট ৫০ লক্ষ টাকার বই বিক্রি হয়েছিল। বাজেট বাড়ানোয় এ বার আরও বেশি টাকার বই বিক্রি হবে বলেই মনে করছেন বাঁকুড়া বইমেলার সম্পাদক মনোরঞ্জন চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “গত বছর বাঁকুড়া বইমেলা থেকে ৫০ লক্ষ টাকার বই বিক্রি হয়েছিল। আমাদের বই কেনার বাজেট ছিল ৫ লক্ষ টাকা। এ বার বাজেট বাড়িয়ে করা হয়েছে ৭ লক্ষ টাকা। এতে আরও লাভবান হবে প্রকাশনা সংস্থাগুলি।”
আজ, মঙ্গলবার থেকে বাঁকুড়া খ্রিস্টান কলেজের মাঠে শুরু হতে চলেছে ৩০ তম বাঁকুড়া বইমেলা। বিখ্যাত সাংবাদিক, বাঁকুড়ার ভূমিপুত্র রামানন্দ চট্টোপাধ্যায়ের জন্ম সার্ধশতবর্ষ উপলক্ষে তাঁর স্মরণেই এ বারের মেলার আয়োজন করতে চলেছে বইমেলা কমিটি। তাই মেলার উদ্বোধক হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে লেখক-সাংবাদিক পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। মেলা কমিটির তরফে জানানো হয়েছে, বইমেলার বাজেট এ বার ১০ লক্ষ টাকা। স্টলের সংখ্যাও বাড়ানো হয়েছে। গতবার ৭২টি স্টল ছিল। এ বার ৮০টি স্টল হবে বলে মেলা কমিটির কর্তারা জানিয়েছেন।
সাত দিনের এই মেলায় প্রতিদিনই সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের পাশাপাশি থাকবে নানা চমক। মনোরঞ্জনবাবু জানান, মেলার দ্বিতীয় দিন অর্থাৎ, বুধবার রামানন্দ চট্টোপাধ্যায়ের জীবন, সাহিত্য ও সাংবাদিকতা নিয়ে আলোচনা চক্রের আয়োজন করা হয়েছে। ওই দিনই কলকাতার নজরুল অ্যাকাডেমি অনুষ্ঠান করবে মেলায়। বৃহস্পতিবার থাকছে কবি সম্মেলন। শুক্রবার সাহিত্য থেকে চলচিত্র নিয়ে আলোচনাচক্র। পরদিন শনিবার শিক্ষার প্রসারে জন-গ্রন্থাগারের ভূমিকা নিয়ে আলোচনাসভা হবে। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে কলকাতার বিভিন্ন নামী শিল্পীরা অংশ নেবেন বলে জানিয়েছেন মনোরঞ্জনবাবু। মেলা কমিটির সভাপতি জেলাশাসক বিজয় ভারতী, আহ্বায়ক পদে রয়েছেন বিধায়ক অরূপ খা।ঁ জেলা পুলিশের তরফে নিরাপত্তার কারণে মেলা কমিটিকে সিসিটিভি লাগানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। মনোরঞ্জনবাবু বলেন, “আমরা এ বিষয়ে আলোচনা চালাচ্ছি।” জেলার ডিএসপি (শৃঙ্খলা-প্রশিক্ষণ) বাপ্পাদিত্য ঘোষ বলেন, “মেলাকে কেন্দ্র করে শহরে যাতে যানজট না হয়, তার জন্য প্রচুর ট্রাফিক পুলিশ মোতায়েন থাকবে। মেলায় আসা সাধারণ মানুষের সুরক্ষার কারণেই মেলা কমিটিকে সিসিটিভি বসানোর প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।”