চলছে কর্মশালা। বাঁকুড়া সম্মিলনী কলেজে বৃহস্পতিবার।—নিজস্ব চিত্র
পরীক্ষার মার্কশিটে সফল, কিন্তু চাকরির ইন্টারভিউ-এ গিয়ে হোঁচট! সকালে খবরের কাগজ খুঁটিয়ে দেখে চাকরির জন্য এদিক ওদিক দৌড়নো। কিন্তু ইন্টারভিউ রুমে ঢুকে নার্ভাস হয়ে সব ওলোটপালট! শেষে ম্লান মুখে ঘরে ফেরা। এমন উদাহরণ কম নয়। একের পর এক পরাজয়ের পরে অবসাদ এ সব আর নয়।
তরুণ প্রজন্মের পাশে দাঁড়াতে এ বার বাঁকুড়ার কয়েকটি কলেজে বিশেষ শিবির শুরু হয়েছে। সাফল্যের চাবিকাঠি খুঁজে দিতে আনন্দবাজার পত্রিকার সহায়তায় শুরু হয়েছে ‘জিলেট গার্ড সাফল্য হাতের মুঠোয়’ কর্মসূচি। বৃহস্পতিবার বাঁকুড়া শহরের সম্মিলনী কলেজ থেকে এই কর্মসূচি শুরু হল। জেলার মোট ছ’টি কলেজে এই কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। সদ্য কলেজ পাশ করা ছেলেমেয়েরাও এই সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন না। আগামী রবিবার বাঁকুড়া শহরের ‘আতিথ্য লজে’ও এই কর্মশালা হবে। সেখানে কলেজের ছেলেমেয়েদের পাশাপাশি কলেজ পাশ করা ছাত্রছাত্রীরাও যোগ দিতে পারবেন বলে জানানো হয়েছে।
কর্মশালায় হাতে-কলমে শেখানো হচ্ছে নিজের ব্যক্তিত্ব বিকাশের পদ্ধতি। ইন্টারভিউয়ের জন্য কী ধরনের পোশাক পরা উচিত, বায়োডেটা তৈরির নিয়ম, ইন্টারভিউ রুমে ঢুকে কথা বলার আদবকায়দা প্রভৃতি শেখানো হচ্ছে। এমনকী খটমটে কোনও প্রশ্নের মুখে পড়লে কী ভাবে নিজেকে সামলে নিয়ে উত্তর দিতে হয় তাও শেখানো হচ্ছে। কর্মশালার পরে কলেজের তৃতীয় বর্ষের পড়ুয়াদের মধ্যে বাছাই করে বড় সংস্থায় চাকরির ব্যবস্থাও করা হবে বলে জানানো হয়েছে।
এ দিনের কর্মশালায় কলেজের শতাধিক ছাত্রছাত্রী যোগ দিয়েছিলেন। তাঁদের মধ্যে প্রথম বর্ষের রূপালি পাল, দ্বিতীয় বর্ষের জগন্নাথ দে, গৌতম মণ্ডলরা বলেন, “নিজেদের কী ভাবে মেলে ধরা যায় তা খুব সহজ ভাবে এখানে বোঝানো হল। এই কর্মশালা থেকে ভবিষ্যতে অনেক সুবিধা পাব।” কলেজের অধ্যক্ষ সমীর মুখোপাধ্যায় এই উদ্যোগের প্রশংসা করে বলেন, “আজকালকার যুগে শুধু পড়াশোনাই সাফল্যের শেষ কথা নয়, সমাজে নিজেকে ঠিক ভাবে মেলে ধরার জন্য এই ধরনের কর্মশালার খুবই দরকার।”