টাকা বকেয়া থাকায় আটকে রাখা হয় নার্সিংহোমে। সেই নার্সিংহোমেরই তিন তলার ছাদ থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করলেন বেসরকারি অর্থলগ্নি সংস্থার এক কর্মী। বছর পঞ্চাশের ওই প্রৌঢ়ের নাম কৃষ্ণচন্দ্র ধর। বুধবার সকালের দিকে রামপুরহাট শহরের হাসপাতালপাড়া সংলগ্ন নার্সিংহোমের তিন তলার ছাদ থেকে ঝাঁপ দেন তিনি। স্থানীয়রা রামপুরহাট হাসপাতালে ভর্তি করান তাঁকে। বিকেলে সেখানে মারা যান তিনি। পুলিশ নার্সিংহোমের মালিক-সহ তিন জনকে আটক করেছে পুলিশ। তাঁদের জেরা করা হচ্ছে।
পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের পকেট থেকে একটি বেসরকারি ব্যাঙ্কের ডেবিট কার্ড পাওয়া গিয়েছিল। ওই কার্ডের নম্বর ধরে খোঁজ করতে গিয়ে জানা যায়, সাঁইথিয়ায় ওই বেসরকারি ব্যাঙ্কের শাখায় মৃতের নামে অ্যাকাউন্ট আছে। ব্যাঙ্কের সঙ্গে যোগাযোগ করে পুলিশ জানতে পারে, কৃষ্ণচন্দ্রবাবুর বাড়ি হুগলির কোন্নগরের নৈটি রোডের এক বহুতলে। মৃতের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করছে পুলিশ।
প্রাথমিক ভাবে পুলিশ জানতে পেরেছে, কলকাতার কেশবচন্দ্র স্ট্রিট এলাকায় বেসরকারি অর্থলগ্নি সংস্থার কর্মী কৃষ্ণচন্দ্রবাবু রামপুরহাট, আমোদপুরে ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষের কাছ থেকে টাকা তুলতেন। নৈটি রোড এলাকার বাসিন্দা ও ব্যবসায়ারীও জানিয়েছেন, অনেককেই তাঁরা দেখছেন ওই প্রৌঢ়ের ফ্ল্যাটে এসে টাকার জন্য তাগাদা দিতে। পুলিশের দাবি, জেরায় আটক ব্যক্তিরা তাদের জানিয়েছেন, রামপুরহাটের ওই নার্সিংহোমের মালিকের কাছ থেকে লক্ষাধিক টাকা নিয়েছিলেন ওই প্রৌঢ়। কিন্তু, প্রতিশ্রতি মতো টাকা তাঁকে দেননি। সম্প্রতি নার্সিংহোমের মালিক জানতে পারেন, গত ২৬ মে থেকে কৃষ্ণচন্দ্রবাবু নলহাটির একটি হোটেলে আছেন। প্রৌঢ়কে রামপুরহাটের নার্সিংহোমে নিয়ে এসে আটকে রাখা হয় বলে পুলিশের দাবি। এ দিন সকালে কৃষ্ণচন্দ্রবাবু নার্সিংহোমের তিন তলার ছাদ থেকে ঝাঁপ দেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, ঝাঁপ দেওয়ার পরে প্রথমে কেব্ল টিভির তারে জড়িয়ে যান ওই প্রৌঢ়। তার পরে রাস্তায় ছিটকে পড়েন।
বুধবারই উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁয় আত্মঘাতী হয়েছেন একটি লগ্নি সংস্থার এজেন্ট। গোপাল বসু (৪৯) নামে ওই এজেন্টের বাড়ি চাঁপাবেড়িয়া এলাকায়। স্বামীর সঙ্গে যোগাযোগ করতে না পেরে বাড়ি ফিরে স্ত্রী দেখেন, তাঁরই শাড়ি গলায় পেঁচিয়ে ঝুলছে স্বামীর দেহ।