প্ল্যাটফর্মের নলকূপ থেকে নিতে নিতেই ছেড়ে দেয় ট্রেন। ছুটে চলন্ত ট্রেনে উঠতে গিয়ে প্ল্যাটফর্ম ও ট্রেনের মাঝে পড়ে প্রাণ হারালেন এক যুবক। শনিবার ঘটনাটি ঘটে ছড়রা স্টেশনের। মৃতের নাম নারায়ণকুমার গুপ্ত (২৫)। তিনি ঝাড়খণ্ডের বোকারো জেলার কুর্মিডির বাসিন্দা। রেলপুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, স্থানীয় একটি লোহা কারখানার কর্মী ওই যুবক আসানসোলে এক বন্ধুর বাড়িতে গিয়েছিলেন। এ দিন সকালে আসানসোল-বোকারো প্যাসেঞ্জারে ওই যুবক বোকারো ফিরছিলেন। ছড়রা স্টেশনে ট্রেন থামতেই তিনি বোতল নিয়ে জল ভরতে প্ল্যাটফর্মে নামেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ট্রেনটি ছড়রা স্টেশনে খুবই অল্প সময় দাঁড়ায়। ট্রেনটি ছেড়ে দেওয়ার পরে জলের বোতল হাতে ছুটে উঠতে গিয়ে পা পিছলে যায়। প্রথমে ওই যুবকের বাঁ পা পরে ডান পা ঢুকে যায়। ট্রেন তখন প্ল্যাটফর্ম ছেড়ে বের হচ্ছে। ওই অবস্থায় দু’টো পা ট্রেন ও প্ল্যাটফর্মের মাঝে ট্রেনের সিড়িতে আটকে যায়। পা দু’টো উপরের দিকে উঠে গিয়ে মাথাটা নীচের দিকে ফেঁসে যায়। প্ল্যাটফর্মে থাকা লোকজনের চিৎকারে ততক্ষণে চালক ট্রেন থামিয়ে দেন। ওই অবস্থায় ওই যুবককে অনেকটা টেনে নিয়ে গিয়ে ট্রেন। তখনও যুবক বেঁচেছিলেন। কিন্তু এমন ভাবে ফেঁসেছিল যে, ট্রেনটিকে সামনে টেনে নিয়ে গেলে যুবকটির দেহ পিষে যাবার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই দ্রুত পুরুলিয়ায় খবর পাঠিয়ে রেলের ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের লোকজনকে ছড়রায় নিয়ে আসা হয়। রেলের চিকিৎসকও আসেন। শেষমেশ প্ল্যাটফর্ম ভেঙে তাঁকে প্রায় ঘণ্টা খানেক পরে বের করে আনা হলেও আর বাঁচানো যায়নি। ছড়রার স্টেশন ম্যানেজার প্রেম সিংহ বদরা বলেন, ‘‘জল নিতে নীচে নেমেছিলেন। তারপর চলন্ত ট্রেনে উঠতে গিয়েই পা পিছলে প্ল্যাটফর্ম ও ট্রেনের মাঝে ঢুকে যায়। ওই যুবককে বের করার অনেক চেষ্টা করা হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত প্ল্যাটফর্ম ভেঙে তাঁকে বের করা হয়। খুবই দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘সচেতনতার অভাব। সকলেই জানেন এখানে ট্রেন এক মিনিট দাঁড়ায়। চলন্ত ট্রেনে ওভাবে ওঠার চেষ্টা করলে দুর্ঘটনার আশঙ্কা থাকেই।’’
ঝড়ে ক্ষতি। শনিবার বিকেলের আচমকা ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্থ হল হুড়া ব্লকের লধুড়কা গ্রাম পঞ্চায়েতের ভুঁইয়াডি-সহ আশপাশের কয়েকটি গ্রাম। ঝড়ে পুরুলিয়া-বাঁকুড়া (৬০-এ) জাতীয় সড়কের উপরে লক্ষণপুরে রাস্তার উপরে গাছ পড়ে কিছুক্ষণের জন্য যান চলাচল ব্যাহত হয়।