Agitation in Bankura

মাসে ১০ দিন কাজ মিলবে নতুন বছরে! নোটিস সামনে আসতেই শ্রমিক বিক্ষোভ বাঁকুড়ার কারখানায়

‘অঙ্কিত মেটাল অ্যান্ড পাওয়ার লিমিটেড’ নামে বেসরকারি স্পঞ্জ আয়রন কারখানায় প্রায় এক হাজার শ্রমিক কাজ করেন। শ্রমিকদের অভিযোগ, নানা সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত করে রেখেছেন কারখানা কর্তৃপক্ষ।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

ছাতনা শেষ আপডেট: ২৬ ডিসেম্বর ২০২৩ ১৭:৩৭
Share:

বিক্ষোভে শ্রমিকরা। —নিজস্ব চিত্র।

শ্রমিকদের প্রায় আড়াই মাসের মজুরি বকেয়া রয়েছে। তারই মাঝে কারখানার নতুন নোটিস ঘিরে শোরগোল শ্রমিকদের মধ্যে। কারখানা কর্তৃপক্ষ জানাচ্ছেন, মাসে ২৬ দিনের কাজের বদলে এ বার প্রত্যেক শ্রমিক মাসে ১০ দিন কাজ পাবেন। নতুন বছর থেকেই চালু হবে সেই নিয়ম। এই নোটিস পড়তেই ক্ষোভে ফেটে পড়লেন বাঁকুড়ার ছাতনা ব্লকের একটি বেসরকারি স্পঞ্জ আয়রন কারখানার শ্রমিকরা। কারখানার মূল গেট ঘেরাও করে তাঁরা অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করেছেন। দাবি, মাসে ২৬ দিনই কাজ দিতে হবে এবং বকেয়া বেতন দ্রুত মেটাতে হবে। না হলে আগামিদিনে আরও বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিচ্ছেন তাঁরা।

Advertisement

বাঁকুড়ার ছাতনা ব্লকে রয়েছে ‘অঙ্কিত মেটাল অ্যান্ড পাওয়ার লিমিটেড’ নামে বেসরকারি স্পঞ্জ আয়রন কারখানা। কমবেশি এক হাজার শ্রমিক কাজ করেন এখানে। শ্রমিকদের অভিযোগ, বছরের পর বছর বিভিন্ন ধরনের সুযোগ-সুবিধা থেকে তাঁদের বঞ্চিত করে রেখেছেন কারখানা কর্তৃপক্ষ। তা ছাড়া, গত আড়াই মাস ধরে অনেকের মজুরি বকেয়া রয়েছে। তারই মধ্যে গত ২০ ডিসেম্বর কারখানা কর্তৃপক্ষ কারখানার গেটে নোটিস টাঙিয়ে জানান যে এখন সংস্কারের কাজ হবে। আর তার পর আগামী ১ জানুয়ারি থেকে সমস্ত শ্রমিককে মাসে দশ দিন করে কাজ দেওয়া হবে।

এখন প্রতি দিন শ্রমিকরা কারখানার গেটে সকাল ১০টা থেকে বেলা ২টো পর্যন্ত বিক্ষোভ কর্মসূচিতে শামিল হচ্ছেন। আন্দোলনে অংশ নেওয়া রবিলোচন প্রামাণিক নামে এক শ্রমিক বলেন, ‘‘আমাদের আড়াই মাসের বেতন বকেয়া রয়েছে। সেই বকেয়া বেতন কবে দেওয়া হবে, সে সম্পর্কে সুস্পষ্ট কিছু জানাননি কারখানা কর্তৃপক্ষ। তার মাঝেই দশ দিন কাজ দেওয়ার নোটিসে আমরা দিশেহারা। অবিলম্বে ওই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করতে হবে।’’ কারখানার আর এক শ্রমিক অরূপ বাউরি বলেন, ‘‘এই কারখানার মজুরি এমনিতেই অল্প। শ্রমিকরা সকলে গরিব। তার পর সেই সামান্য মজুরিও যদি মাসের পর মাস বকেয়া পড়ে থাকে তবে আমাদের সংসার চলবে কী ভাবে?’’ মাসে ১০ দিন কাজ করে কী ভাবে নিজের এবং পরিবারের অন্নসংস্থান করবেন, তা নিয়ে চিন্তায় পড়েছেন অরূপরা। কারখানা কর্তৃপক্ষ শ্রমিকদের এই আন্দোলন নিয়ে মুখ খুলতে চাননি। কারখানার অন্যতম প্রধান নবীন আগরওয়ালের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছিল। কিন্তু তিনি কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement