প্রতীকী ছবি।
পুজোয় ইভটিজিংয়ের মোকাবিলায় সাদা পোশাকে পথে-ঘাটে, মণ্ডপে-মণ্ডপে ঘুরবে বীরভূম পুলিশের বিশেষ মহিলা দল। ইতিমধ্যেই জেলা পুলিশ সুপারের নির্দেশে বেশ কিছু থানায় কমবেশি ১০ জনের দল তৈরি করা হয়েছে। রামপুরহাটে পুলিশ সুপার কুণাল আগরওয়াল সোমবার বলেন, ‘‘পুজোর সময় ইভটিজিং নিয়ে প্রত্যেকবারই প্রচুর অভিযোগ আসে। তার মোকাবিলা করতে এ বার জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে এই পদক্ষেপ করা হয়েছে। ’’
কী ভাবে ওই দল কাজ করবে তাও জানিয়েছেন পুলিশ সুপার। তিনি জানান, কোনও অভিযোগ পেলেই সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে থানায় ধরে আনা হবে। তার পরে আইন মেনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। জেলা পুলিশ সূত্রের খবর, উৎসবের মরসুম নির্বিঘ্ন করতে আরও কিছু পদক্ষেপ করা হয়েছে। আড়াই হাজার পুলিশ কর্মী নিরাপত্তায় ব্যবস্থায় নিযুক্ত আছেন। পুলিশকে সাহায্য করবে প্রায় পাঁচ হাজার সিভিক ভলাটিয়ার। এ ছাড়া নবান্ন থেকে দুই কোম্পানি মতো ফোর্স পাওয়া গিয়েছে। বিভিন্ন থানায় তা মোতায়েন করা হয়েছে। এ ছাড়া জেলার সীমান্তবর্তী এলাকায় সিআরপি কর্মী মোতায়েন করা হয়েছে বলে পুলিশ সুপার জানান।
জেলা পুলিশ থেকে প্রকাশিত হেল্পলাইন নম্বর ১৮০০-৩১৩-৭৪৬৪। ছোটরা হারালে কিংবা বিপদে পড়লে ডায়াল করতে হবে এই নম্বরে ৯৪৭৫৫৫৫৫০৫। মহিলাদের কোনও সমস্যায় পুলিশের তরফে ১০৯১ নম্বরে ডায়াল করতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া পুজোর সময়ে যে কোনও বিপদে ১০০ কিংবা জেলা পুলিশের কন্ট্রোল রুম নম্বর ০৩৪৬২, ২৫৫৫২৩ নম্বরে ফোন করার জন্য বলা হয়েছে। জেলা পুলিশের তরফে বার্তা: আইনশৃঙ্খলা বা কোনও গোলমালে নিজেরা সরাসরি না আইন হাতে না নিয়ে পুলিশকে জানান। পুলিশের তরফে দাবি, যে কোনও সমস্যা মোকাবিলায় তারা তৈরি।
তবে সব থেকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে মহিলাদের নিরাপত্তায়। বীরভূম পুলিশের বিশেষ মহিলা দল সাদা পোশাকে বিভিন্ন জায়গায় নজরদারি চালাচ্ছে। এমনিতেই জেলার তিনটি মহকুমায় আলাদা করে ‘টাইগার ফোর্স’ তৈরি করা হয়েছে। তারও সক্রিয় থাকবেন। পুলিশ সুপারের কথায়, ‘‘অশান্তি, গোলমালের তথ্য তৈরি করা হচ্ছে। যেখানেই গোলমাল হবে পৌঁছে যাবে পুলিশ।’’ এ দিন জেলা পুলিশের এক অনুষ্ঠানে নিরাপত্তার সার্বিক অবস্থা নিয়ে সকলকে সচেতন করে দেন।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সিউড়ি, বোলপুর, রামপুরহাট, সাঁইথিয়া, দুবরাজপুর, নলহাটি— এই সমস্ত শহরের ভিতরে ও প্রধান প্রধান রাস্তায় বিকেল চারটে থেকে রাত এগারোটা পর্যন্ত টোটো এবং অন্য যান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। ষষ্ঠীর বিকেল থেকে এই বিসর্জনের দিন পর্যন্ত এই নিয়ম জারি থাকবে।