—ফাইল চিত্র
চলতে থাকা অচলবাস্থা কাটাতে কর্মী পরিষদের সঙ্গে আলাপিনী মহিলা সমিতির বৈঠক হয়েছে বলে সোমবার জানাল বিশ্বভারতী। যদিও এ দিনই আলাপিনী সমিতি জানিয়ে দিল, তারা এমন কোনও বৈঠকের কথা জানেই না! তা হলে কর্মী পরিষদের বৈঠক হল কাদের সঙ্গে—প্রশ্ন উঠছে।
এ দিন সন্ধ্যা ৭.৩০ নাগাদ একটি প্রেস বার্তা পাঠিয়ে বিশ্বভারতীর জনসংযোগ আধিকারিক অনির্বাণ সরকার জানান, ‘আজ ৪ জানুয়ারি বিকেল পাঁচটায় বর্তমানে আলাপিনী মহিলা সমিতি সংক্রান্ত সমস্যা নিয়ে আলাপিনী মহিলা সমিতির কিছু সদস্য ও কর্মী পরিষদের যৌথ উদ্যোগে একটি সভা আয়োজিত হয়’। এই বৈঠকে বিশ্বভারতী ও আলাপিনীর মধ্যে বর্তমানে তৈরি হওয়া অচলাবস্থা কাটানোর বিষয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানান কর্মী পরিষদের সদস্য কিশোর ভট্টাচার্য। যদিও আলাপিনী সমিতির সভানেত্রী অপর্ণা দাস মহাপাত্র বলেন, “এই ধরনের কোনও বৈঠকের কথা আমাদেরকে জানানোই হয়নি। কর্মী পরিষদ সম্পূর্ণ মিথ্যাচার করছে।’’
জমসংযোগ আধিকারিকের বার্তা অনুযায়ী বৈঠকে বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যেমন, ঐতিহ্য বজায় রেখে আলাপিনী মহিলা সমিতি স্বচ্ছ, সৎ ও সমবেত ভাবে কাজ করবে, বিশ্বভারতী প্রশাসনের সঙ্গে সহযোগিতা রেখেই এর পথ চলাকে সুদীর্ঘ ও স্থায়ী করা হবে, আলাপিনী মহিলা সমিতির কর্মধারাকে অব্যাহত রাখতে অবিলম্বে সমস্যার সমাধানসূত্র বের করতে হবে এবং সর্বসম্মতিক্রমে বিশ্বভারতীর বিরুদ্ধে ‘অপপ্রচার’ বন্ধ করতে হবে।
যদিও আলাপিনীর দাবি, যে বৈঠক সম্পর্কে তাদের কাছে কোনও তথ্য নেই, কোনও আমন্ত্রণ নেই, সেই বৈঠকে গৃহীত সিদ্ধান্ত সম্পর্কেও তাদের কিছু বলার থাকতে পারে না। সমিতির সভানেত্রী বলেন, “বৈঠকে উপস্থিতদের তালিকা দেখে আমরা বুঝতে পারি, আলাপিনীর এক জন মাত্র সদস্যা সেখানে ছিলেন। তবে, তিনিও আমাদের ফোনে জানিয়েছেন, তিনি আলাপিনীর প্রতিনিধি হিসাবে বৈঠকে যাননি।’’
যদিও কিশোরবাবুর দাবি, “আমরা কর্মী পরিষদের পক্ষ থেকে চাইছি, সমস্যার দ্রুত সমাধান হোক, সেই মর্মেই আলোচনা শুরু হয়েছে। আলাপিনীর অন্তত ১১ জন সদস্যা এ দিন ছিলেন। পরে সমিতির সভানেত্রী ও সম্পাদকের সঙ্গেও আলোচনা করা হবে।’’ একই সঙ্গে তিনি জানাচ্ছেন, বিশ্বভারতীর অ্যাক্ট বা কর্মসমিতির রেজোলিউশনে আলাপিনীর কোনও উল্লেখ নেই, মান্যতা নেই, রেজিস্ট্রেশনও নেই। তবু, কর্তৃপক্ষ চান, আলাপিনী সমিতি থাকুক। নিয়ম মেনে ও সদস্য সংখ্যা বাড়িয়ে আরও শক্তিশালী হয়েই থাকুক। অপর্ণা দেবীর বক্তব্য, “বৈঠকের দাবি আমরাই জানিয়েছিলাম। কিন্তু বৈঠকের নামে যে মিথ্যাচার এ দিন করা হল, এর পরে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কোনও বৈঠকে বসার প্রশ্নই ওঠে না!’’ সমিতির সদস্যা মনীষা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, আজ, মঙ্গলবার তাঁদের অবস্থান-বিক্ষোভ এবং শনিবার পদযাত্রার কর্মসূচি অপরিবর্তিত থাকছে।