প্রতীকী ছবি।
১৫ বছরের দাম্পত্য জীবনে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়াঝাঁটি যেন নিত্যদিনের নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছিল। এমনকি, ঝগড়াঝাঁটির সময় প্রায়শই স্ত্রীকে মারধরের অভিযোগও ছিল। তবে শুক্রবার সেই ঝগড়াঝাঁটির মাঝেই অঘটন। অভিযোগ, তুমুল ঝগড়ার মাঝে কুড়ুলের কোপ মেরে স্ত্রীকে খুন করেন বাঁকু়ড়ার শালতোড়ার এক ব্যক্তি। শুক্রবার ওই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে শালতোড়া থানার পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, শালতোড়ার বড়শাল গ্রামের বাসিন্দা ছায়া বাউড়ি (৩৫)-কে খুনের অভিযোগে তাঁর স্বামী জপহরি বাউড়িকে গ্রেফতার করা হয়েছে। শনিবার বাঁকুড়া জেলা আদালতে জপহরিকে পেশ করেছে পুলিশ।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, বছর ১৫ আগে ছায়ার সঙ্গে জপহরির বিয়ে হয়েছিল। তবে বিয়ের কিছু দিন পর থেকেই তাঁদের মধ্যে দাম্পত্য কলহ শুরু হয়। এমনকি, দু’জনের মধ্যে ঝগড়াঝাঁটির সময় জপহরি প্রায়শই স্ত্রীকে বেধড়ক মারধর করতেন বলেও অভিযোগ। শুক্রবারও দু’জনের ঝগড়া চরমে পৌঁছয়।
ছায়ার বাপের বাড়ির সদস্যদের দাবি, দু’জনের মধ্যে ঝগড়ার সময় ঘরের কোণে রাখা একটি কুড়ুল নিয়ে স্ত্রীর গলায় কোপ মারেন জপহরি। সঙ্গে সঙ্গে ঘরের মধ্যেই লুটিয়ে পড়েন ছায়া। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের জেরে কিছুক্ষণের মধ্যে ছায়ার মৃত্যু হয়।
খবর পেয়ে শুক্রবার ছায়ার দেহ নিয়ে যায় শালতোড়া থানার পুলিশ। পাশাপাশি, স্ত্রীকে খুনের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় জপহরিকে।
পুলিশ জানিয়েছে, ময়নাতদন্তের জন্য শনিবার ছায়ার দেহ বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজে পাঠানো হয়েছে। পাশাপাশি, বাঁকুড়া জেলা আদালতে জপহরিকে পেশ করেছে পুলিশ। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে খুনের মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করা হয়েছে।