দু’জনেরই নাম অতনু মণ্ডল। —নিজস্ব চিত্র।
নামবিভ্রাটে জেরবার বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরের তৃণমূল শিবিরের নেতারা। বিষ্ণুপুরের ১৯ নম্বর ওয়ার্ডে দল প্রার্থী করেছে অতনু মণ্ডলকে। কিন্তু দুই অতনুর মধ্যে প্রার্থী অতনু কে তা খুঁজে বার করতে নাকানিচোবানি খাচ্ছেন স্থানীয় তৃণমূল নেতারা। কে যে আসল আর কে নকল তা খুঁজতে বৈঠক ডেকেছে স্থানীয় নেতৃত্ব।
দু’জনের নাম এক। দু’জনেই এক ওয়ার্ডের বাসিন্দা দুজনে। এক জন নিজেকে তৃণমূল কর্মী বলে দাবি করেন। অপর জন নিজের পরিচয় দেন আইএনটিটিইউসি কর্মী বলে। শুক্রবার তৃণমূলের প্রার্থিতালিকা বার হওয়ার পর বিষ্ণুপুরের ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের দুই অতনুই নিজেকে দলের প্রার্থী বলে দাবি করছেন। দু’জনে কোমর বেঁধে নেমে পড়েছেন প্রচারে। নেটমাধ্যমে দু’জনের অনুগামীরাই প্রচারে ঝড় তুলছেন। তবে কেউই মনোনয়ন জমা দেননি এখনও। মনোনয়ন জমা দেওয়ার জন্যই দু’জনেই দলীয় নেতৃত্বের নির্দেশের অপেক্ষায় এখন।
আইএনটিটিইউসি-র কর্মী অতনুর কথায়, ‘‘আমি দীর্ঘদিনের কর্মী। আই প্যাকের কর্মীরা আমাকে বার বার ফোন করেছেন। বিষ্ণুপুরের ১৯ নম্বর ওয়ার্ডে আমিই তৃণমূলের আসল প্রার্থী। আমি প্রচারে নেমে পড়েছি। নেটমাধ্যমে তো বটেই বাড়ি বাড়ি ঘুরেও প্রচার চালাচ্ছি আমি। দলের নির্দেশ পেলে আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে মনোনয়ন জমা দেব।’’ আবার তৃণমূল কর্মী অতনুর বক্তব্য, ‘‘আমি দীর্ঘ দিন ধরেই দল করছি। দলীয় নেতৃত্ব আমাকে জানিয়েছেন, আমিই প্রার্থী। তাঁদের নির্দেশ মতো আমি প্রচার শুরু করে দিয়েছি। এই ওয়ার্ডেই আরেক জন অতনু মণ্ডল নিজেকে তৃণমূলের প্রার্থী বলে দাবি করছেন বলে শুনেছি। কিন্তু তাঁকে কোনও দিন দলের কাজ করতে দেখিনি।’’
দুই অতনুই দাবি করছেন তিনিই ‘আসল’। কে যে আসল সেই ধোঁয়াশা কাটেনি স্থানীয় নেতৃত্বেরও। তৃণমূলের বিষ্ণুপুর শহরের সভাপতি সুনীল দাসের কথায়, ‘‘প্রার্থিতালিকায় ঠাঁই পাওয়া আসল অতনু মণ্ডল যে কে তা খুঁজে বার করতেই আমরা বৈঠকে বসছি। সেখানেই আসল অতনুকে খুঁজে বের করা হবে।’’