প্রতীকী ছবি
জোটের মাধ্যমেই পুরভোটে জেলায় লড়াই করবে বাম-কংগ্রেস দুই রাজনৈতিক শিবির। বুধবার বিকেলে সাংবাদিক বৈঠকে সেই কথাই ঘোষণা করলেন বাম ও কংগ্রেস নেতারা। তাঁরা নিজেরা এ দিন একটি বৈঠকও করেন।
এ দিন বিকেলে সিপিএমের জেলা কার্যালয়ে ওই সাংবাদিক বৈঠক হয়। যেখানে উপস্থিত ছিলেন সিপিএম নেতা গৌতম ঘোষ, এমএমপির নেতা দ্বারিক চক্রবর্তী, ফরওয়ার্ড ব্লক নেতা দীপক চট্টোপাধ্যায়, কংগ্রেসের জেলা সভাপতি সঞ্জয় অধিকারী, আইএনটিইউসির জেলা সভাপতি মৃণাল বসু-সহ অন্যরা। গৌতম ঘোষ ও সঞ্জয় অধিকারী ঘোষণা করেন জেলার পাঁচটি পুরসভাতেই তাঁরা জোটবদ্ধ হয়ে লড়াই করবেন। দুই দলের নেতাদেরই দাবি, তাঁরা প্রার্থীদের ক্ষেত্রে কিছু নতুন মুখ আনবেন। তাঁরা জানান, যে আসনে যে দল শক্তিশালী সেই দলের প্রার্থীই দেওয়া হবে। এ ছাড়া ওই দুই রাজনৈতিক শিবিরই যৌথভাবে প্রার্থী নির্বাচন করবেন। এই নিয়ে গৌতম ঘোষ বলেন, ‘‘সিপিএম কোনও প্রার্থী দিলে কংগ্রেস সেই প্রার্থী সম্পর্কে বুঝে নেবে তেমনি কংগ্রেস কোথাও প্রার্থী নিলে বামেরা সেটা বুঝে নেবে।’’ তাঁরা জানান, নির্বাচন ঘোষণার পরের দিনই তাঁরা প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করবেন।
জোটকে গুরুত্ব দিতে নারাজ তৃণমূল। তৃণমূল নেতা বিকাশ রায়চৌধুরী বলেন, ‘‘ওঁরা মানু্ষের সঙ্গে যোগাযোগ রাখেন না। তাই জোট করে লড়ুক আর যেভাবেই আমাদের কিছু যায় আসে না।’’ তৃণমূলের জেলা সহ সভাপতি মলয় মুখোপাধ্যায়ের কথায়, ‘‘আমরা জানি যে ওঁরা তলে তলে জোট করেছে। এতদিনে সেটা প্রকাশ্যে এলো।’’ এই জোটকে কটাক্ষ করেছে বিজেপি। বিজেপির জেলা সভাপতি শ্যামাপদ মণ্ডলের বক্তব্য, ‘‘ওঁরা বাঁচার জন্য একে অপরের আশ্রয় নিচ্ছে।’’