পরিদর্শন। নিজস্ব চিত্র
গ্রামে ঢোকার জন্য গড়া হচ্ছে কংক্রিটের রাস্তা। তবে জমি থেকে সেই রাস্তা এতটাই উঁচু, যে কোনও সময়ে দুর্ঘটনার আশঙ্কা থেকেই যায়। কেন এমন হবে, ঠিকাদারকে সেই প্রশ্ন করলেন বাঁকুড়ার জেলাশাসক উমাশঙ্কর এস।
জেলাশাসক মঙ্গলবার বেলিয়াতোড়ের ছান্দার পঞ্চায়েতে গিয়ে বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের কাজ ঘুরে দেখেন। জেলা পরিষদের বরাদ্দ করা টাকায় পলসনা গ্রামে ঢোকার মুখে কংক্রিটের নির্মীয়মাণ রাস্তা নজরে আসে জেলাশাসকের। প্রশাসনিক কর্তারা জানান, কংক্রিটের রাস্তার দু’পাশে দু’ফুট করে মাটি দেওয়ার নির্দেশ রয়েছে প্রকল্পে। এ কথা শুনেই জেলাশাসক নিজে ফিতে হাতে মেপে দেখেন, নির্দেশ মতো রাস্তার দু’পাশে মাটি দেওয়া হয়নি।
গ্রামের বাসিন্দারা জানান, কংক্রিটের রাস্তাটি এতটাই উঁচু যে চলাচল করতে গিয়ে রাস্তার পাশে দুর্ঘটনা ঘটছে। কোনও ভাবে মোটরবাইক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে নেমে পড়লে ফের তা রাস্তায় তোলাটাই সমস্যার হয়ে দাঁড়ায়। জেলাশাসক ওই রাস্তা নির্মাণের দায়িত্বপ্রাপ্ত ঠিকাদারকে বলেন, “নির্দেশ মতো দু’ফুট মাটি দিন রাস্তার দু’পাশে। সরকারি প্রকল্পের কাজ নিয়ম মেনে করতে হবে।” রাস্তার বেশ কিছু জায়গায় নির্মাণ কাজ পছন্দ হয়নি জেলাশাসকের। রাস্তার কিছু অংশ ফাঁকা রেখে দিয়েছেন ঠিকাদার। অবিলম্বে সেগুলি ভরাট করার নির্দেশ দিয়েছেন জেলাশাসক।
এ দিন পলসনা এলাকায় একটি জোড়ের উপরে কালভার্টের অবস্থা খতিয়ে দেখেন জেলাশাসক। বড়জোড়া পঞ্চায়েত সমিতিকে ওই কালভার্ট সংস্কারের নির্দেশ দেন। গোস্বামীপুর এলাকায় একশো দিনের কাজে একটি পুকুর খনন হচ্ছে। খতিয়ে দেখেন জেলাশাসক। ছান্দার প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নতুন ভবন নির্মাণের পরিকল্পনা করার নির্দেশ দেন বড়জোড়া ব্লক দফতরকে। পাশাপাশি, ঝোপঝাড়ে ভরা ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্র প্রাঙ্গণে জেলাশাসক বৃক্ষরোপণের কর্মসূচি নেওয়ারও নির্দেশ দেন ছান্দার পঞ্চায়েতের প্রধান ধনঞ্জয় মান্ডিকে।
এ দিন জেলাশাসকের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন বাঁকুড়া জেলা পরিষদের কৃষি ও সেচ স্থায়ী সমিতির কর্মাধ্যক্ষ সুখেন বিদ, জেলা পরিষদের ইঞ্জিনিয়ার সামসুদ্দিন খান, বড়জোড়া পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি কাজল পোড়েল, বিডিও (বড়জোড়া) ভাস্কর রায় প্রমুখ। বিডিও বলেন, “জেলাশাসক যে কাজগুলি করতে নির্দেশ দিয়েছেন শীঘ্রই আমরা সেগুলি করব।”