বাঁকুড়ার চকবাজারে। নিজস্ব চিত্র
নিয়ম কিছুটা শিথিল হতেই ‘লকডাউন’-এর মধ্যে পুরুলিয়া আর বাঁকুড়ার রাস্তায় বেরিয়ে পড়লেন প্রচুর মানুষজন। সোমবার সাতসকালে পুরুলিয়া শহরের রাস্তায় যানজটের খবর পেয়ে মাইক হাতে নামতে হল পুলিশকে।
এ দিন সকালে পুরুলিয়ার বিভিন্ন বাজারে অনেক দোকান খুলে গিয়েছিল। পাড়ায়-পাড়ায় দেখা যায়, চায়ের দোকানও খোলা। কোর্ট মোড় লাগোয়া এলাকায় রীতিমতো যানজট বেধে যায়। থিকথিকে ভিড় ছিল পোস্টঅফিস মোড়, হাসপাতাল মোড়, হাটের মোড়, চকবাজার, মধ্যবাজারে।
খবর পেয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে মাইক হাতে নামে পুলিশ। এলাকায় এলাকায় ঘোষণা করা হয়, ‘লকডাউন’ এখনও জারি আছে। দরকার ছাড়া বাইরে বেরনো যাবে না। যে দোকানগুলি খোলার কথা নয়, পুলিশ গিয়ে বন্ধ করে দেয়। বেলা সাড়ে ১১টা নাগাদ দেখা যায়, রাস্তাঘাট আবার সুনসান হয়েছে।
কড়া হাতে পুরুলিয়ায় ‘লকডাউন’ বলবৎ করছে পুলিশ। ইতিমধ্যেই প্রকাশ্যে জটলা করার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে ৩৮ জনকে। আটক করা হয়েছে একাধিক মোটরবাইক। পেশায় শিক্ষক বিকাশ মাহাতো বলেন, ‘‘শহরের এ দিনের অবস্থা দেখে মনে হয়, অনেকেরই এখনও হুঁশ হয়নি।’’
এ দিন বাঁকুড়া শহরের অধিকাংশ দোকানপাটও ছিল খোলা। সতীঘাট এলাকার এক চায়ের দোকানদার বলেন, ‘‘দীর্ঘদিন ব্যবসা বন্ধ। টাকাপয়সায় টান পড়েছে। তাই বাধ্য হয়েই দোকান খুলেছি। তবে মনের মধ্যে থেকে ভয় কাটছে না।” অনেক মানুষ এ দিন বাঁকুড়ার রাস্তায় নামলেও অধিকাংশের মুখ ছিল ঢাকা। কাজে বেরিয়েছিলেন নির্মাণশ্রমিক ও দিনমজুরেরা।
(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)