West Bengal Lockdown

তিন পুর-শহরে ভিড় জমল বাজারে

রবিবার বিকেল ৫টা থেকে মঙ্গলবার বিকেল ৫টা পর্যন্ত বাঁকুড়া জেলার তিন পুর-শহর— বাঁকুড়া, বিষ্ণুপুর ও সোনামুখীতে ‘লকডাউন’ ঘোষণা করে জেলা প্রশাসন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বাঁকুড়া ও বিষ্ণুপুর শেষ আপডেট: ২৯ জুলাই ২০২০ ০৫:১৮
Share:

খোলা মুখেই বাঁকুড়ার পথে। নিজস্ব চিত্র

বাঁকুড়া জেলার তিন শহরে ‘লকডাউন’-র শেষ দিন, মঙ্গলবার বাজারে ফিরল স্বাভাবিক ভিড়। কিছু জায়গায় নির্দিষ্ট সময়ের থেকেও বেশিক্ষণ বাজার বসার অভিযোগও উঠল। শেষে পুলিশ গিয়ে রীতিমতো ধমক দিয়ে দোকান-পাট বন্ধ করায়। এ দিন বিকেল ৫টার পরে প্রশাসনের জারি করা ‘লকডাউন’-এর সময়সীমা শেষ হয়ে যায়। তারপরে কিছু দোকান খোলে তিনটি শহরেই। তবে বিকেল দিকে বেশি ভিড়ভাট্টা হয়নি। বাঁকুড়ার জেলাশাসক এস অরুণ প্রসাদ বলেন, “লকডাউন পরিস্থিতি দেখতে আমি নিজে শহরে ঘুরেছি। কোথাও বেনিয়ম চোখে পড়েনি।’’ বাঁকুড়া জেলা পুলিশের এক কর্তা বলেন, “লকডাউনে তিনটি পুর-শহরের কোথাও কোনও গোলমালের ঘটনা ঘটেনি।”

Advertisement

রবিবার বিকেল ৫টা থেকে মঙ্গলবার বিকেল ৫টা পর্যন্ত বাঁকুড়া জেলার তিন পুর-শহর— বাঁকুড়া, বিষ্ণুপুর ও সোনামুখীতে ‘লকডাউন’ ঘোষণা করে জেলা প্রশাসন। তবে এই ক’দিন সকাল ৭টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত মুদি দোকান ও আনাজের বাজারে ছাড় দেওয়া হয়েছিল।

তবে সোমবার তিনটি পুর-শহরের আনাজের বাজারগুলিতে তেমন ভিড় ছিল না। কিন্তু মঙ্গলবার ভিড় ফিরে আসে। বাঁকুড়ার গোপীনাথপুরের আনাজ বাজারে অন্য দিনের মতোই ভিড় দেখা যায়।

Advertisement

স্থানীয় কাউন্সিলর দেবাশিস লাহা বলেন, “সোমবার যেমন ক্রেতাদের ভিড় অনেকটাই কম ছিল, এ দিন তার উল্টো ছবিই দেখা গিয়েছে। আসলে বুধবার থেকে রাজ্য জুড়ে এক দিনের পূর্ণ ‘লকডাউন’। তাই অনেকেই দরকারি জিনিস কেনাকাটা করতে বাজারে এসেছিলেন।” বাঁকুড়া শহরের বাসিন্দা সোমনাথ দে বলেন, “পূর্ণ ‘লকডাউন’-এর আগে আনাজপাতি কেনাকাটা সেরে রাখলাম।”

এ দিন বেলা ১১টার পরেও মাচানতলা এলাকায় অনেকেই আনাজ বিক্রি করতে দেখা যায়। পুলিশকর্মীদের তা নজরে আসতেই ধমক দিয়ে বিক্রেতাদের উঠিয়ে দেওয়া হয়। বিষ্ণুপুর শহরের মটুকগঞ্জেও পুলিশ দোকান বন্ধ করায়।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement