ছবি: পিটিআই।
করোনা সংক্রমণ এড়াতে বীরভূমের সঙ্গে ঝাড়খণ্ডের আন্তঃরাজ্য সীমানা আগেই সিল করা হয়েছিল। এ বার সেই তালিকায় যুক্ত হল পড়শি জেলাও। শুক্রবার থেকে বীরভূমের সঙ্গে পশ্চিম বর্ধমান, পূ্র্ব বর্ধমান ও মুর্শিদাবাদের সীমানা সিল করা হল। এ দিন সকাল থেকে পুলিশি তৎপরতায় ভিন্ জেলা থেকে বীরভূমে ও বীরভূম থেকে ভিন্ জেলায় যাতায়াত পুরোপুরি বন্ধ থেকেছে। জেলা পুলিশ সুপার শ্যাম সিংহ জানিয়েছেন, এ বার থেকে শুধুমাত্র সরকারি গাইডলাইন মেনে যেটুকু ছাড় দেওয়া হয়েছে, তার বাইরে কেউ যাতায়াত করতে পারেবন না।
স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই পশ্চিম বর্ধমানে করোনা সংক্রমণ ধরা পড়েছে। কিন্তু, পশ্চিম বর্ধমান, মুর্শিদাবাদ ও পূর্ব বর্ধমান থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত লোকজন বীরভূমে যাতায়াত করেছেন বিভিন্ন প্রয়োজনে। বীরভূম ‘গ্রিন জ়োন’-এ থাকলেও এ ভাবে যাতায়াত থাকলে সংক্রমণের আশঙ্কা এড়ানো যাবে না। সে জন্যই আন্তঃজেলা সীমানা বন্ধের সিদ্ধান্ত। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ইসিএলে কর্মরত বহু কর্মী মোটরবাইকে স্টিকার সেঁটে (অনুমোদন) খয়রাশোলের ভীমগড় হয়ে যাতায়াত করতেন। একই ভাবে অজয় পেরিয়ে জামুড়িয়া থানা এলাকা থেকেও বীরভূমে যাতায়াত ছিল। সে-সব পুরোপুরি বন্ধ করা হয়েছে। সকলকে স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে, পশ্চিম বর্ধমানে যেতে হলে যান, আর ফিরবেন না।
বীরভূম স্বাস্থ্য জেলার সিএমওএইচ হিমাদ্রি আড়ির মতে, এই ধরনের পদক্ষেপ জরুরি। তিনি বলেন, ‘‘আমাদের জেলায় এ পর্যন্ত যাঁদের করোনা সংক্রমণের সন্দেহ হয়েছে, তাঁদের লালারসের নমুনা নাইসেডে পাঠানো হয়েছে। কারও এখনও পজ়িটিভ পাইনি। শনিবার থেকে সংখ্যাটা আরও বাড়ানো হচ্ছে। তাতে সংক্রমণের গতিবিধির উপরে আরও ভালভাবে নজর রাখা যাবে।’’