জলমগ্ন তারাপীঠের মহাশ্মশান। — নিজস্ব চিত্র।
ভারী বৃষ্টির জেরে বিপর্যস্ত দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলা। গত দু’দিন টানা বৃষ্টিতে জলের তলায় অনেক এলাকা। কোথাও হাঁটুসমান জল, কোথাও আবার সেই জল কোমরসমান। বীরভূমের বিভিন্ন এলাকা জলমগ্ন। বাদ পড়ল না তারাপীঠের মহাশ্মশানও। অতিবৃষ্টির কারণে শ্মশানের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া দ্বারকা নদীর জলস্তর বেড়েছে। ফলে নদী থেকে জল উপচে ঢুকে পড়েছে শ্মশানে। শ্মশানের বিভিন্ন জায়গা পুরো জলের তলায়। কোথাও কোথাও আবার জমা জলের গভীরতা প্রায় আড়াই ফুট। যার জেরে আপাতত বন্ধ শ্মশানের দেহ সৎকারের কাজ। তবে দ্রুত পরিষেবা স্বাভাবিক করার চেষ্টা চলছে।
বুধবার তেমন বৃষ্টি না হলেও বৃহস্পতিবার থেকে বেড়েছে পরিমাণ। শুক্রবারও একই ছবি দেখা গিয়েছে। শুক্রবার গভীর রাত থেকে মহাশ্মশানে জল ঢুকতে শুরু করে। টানা বৃষ্টির জেরে দ্বারকা নদীর জলস্তর বেড়েছে। ফলে শনিবার বেলা গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে জলের পরিমাণও বৃদ্ধি পেয়েছে। জলস্তর বেড়ে যাওয়ায় নদীর পার ছাপিয়ে জল ঢুকে পড়েছে তারাপীঠ মহাশ্মশানে। তবে শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, ধীরে ধীরে জলের পরিমাণ নামতে শুরু করেছে।
শুধু তারাপীঠ মহাশ্মশান নয়, বীরভূমের বিভিন্ন এলাকা জলমগ্ন। দ্বারকা নদীর পাশাপাশি ময়ূরাক্ষীর মতো নদীরও জলস্তরও বেড়েছে। নদীগুলিতে জলস্তর বেড়ে যাওয়ার কারণে শুক্রবার বীরভূমের একাধিক রাস্তায় জল জমে গিয়েছিল। বন্ধ সাঁইথিয়া ফেরিঘাট। বন্ধ রয়েছে জয়দেবের কাছে অজয় নদীর উপর ফেরিঘাটও। ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় দুর্ভোগের মধ্যে পড়তে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। বৃষ্টির কারণে বিপর্যস্ত রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজের পরিষেবা। সেখানে চার দিন ধরে বন্ধ সিটি স্ক্যান। শুক্রবার থেকে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে এক্স-রে পরিষেবাও। বিপাকে পড়েছেন চিকিৎসা করাতে আসা রোগী এবং তাঁদের আত্মীয়েরা। তবে প্রশাসন সূত্রে খবর, শনিবার থেকে বৃষ্টির পরিমাণ কমায় জলস্তরও নামতে শুরু করেছে। ফলে আবার যদি ভারী বৃষ্টি না হয়, তবে সব পরিষেবা দ্রুত স্বাভাবিক করা সম্ভব হবে।