—ফাইল চিত্র।
নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ মেনে বুধবার থেকে বীরভূম জেলায় শুরু হল ভোটার তালিকা সংশোধনের প্রক্রিয়া। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ভোটার তালিকায় সংশোধন, সংযোজন, স্থানান্তরিত করা এবং বিয়োজনের জন্য আবেদনপত্র গ্রহণ চলবে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত। আবেদনপত্র বিবেচনার শেষ তারিখ ৫ জানুয়ারি। চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশিত হওয়ার কথা ১৫ জানুয়ারি।
সামনের বছর বিধানসভা নির্বাচন। তাই যথাসম্ভব ত্রুটিমুক্তভোটার তালিকা প্রকাশ করতে চাইছে নির্বাচন কমিশন। অতিমারির আবহে কী ভাবে সেই কাজ সম্পন্ন করতে হবে সে বিষয়ে চলতি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে জেলাশাসকদের প্রশিক্ষণ ও নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, জেলায় তিন হাজারেরও বেশি বুথে ছুটির দিন বাদে প্রতিদিন দুপুর ১২টা থেকে বেলা দু’টো পর্যন্ত এক জন করে আধিকারিক (বিএলও) থাকবেন। এ ছাড়া, প্রতি শনি ও রবিবার চলবে বিশেষ শিবির। ওই দিনগুলিতে নির্দিষ্ট আবেদন গ্রহণ করা হবে বেলা ১১টা থেকে বিকেল চারটে পর্যন্ত। প্রশাসনিক কর্তারা জানিয়েছেন, করোনাবিধি মেনে বুথগুলিতে কাজ করবেন আধিকারিকেরা। তার জন্য দেওয়া হবে মাস্ক ও স্যানিটাইজার। যে যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বুথগুলি রয়েছে, করোনা সংক্রমণের জেরে সেগুলি বন্ধ থাকলেও প্রশাসনের নির্দেশে বিএলও-দের বসার জন্য একটি নির্দিষ্ট ঘর খুলে দিতে বলা হয়েছে। প্রতিটি বুথে বিএলও-দের সাহায্য করার জন্য প্রতিটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে জেলা ও ব্লক স্তরে বৈঠক প্রশাসনিক আধিকারিকেরা।
জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, জেলায় এখন মোট ভোটার ২৬ লক্ষ ৭০ হাজারের কিছু বেশি। পুরুষ ভোটার মহিলা ভোটারদের তুলনায় বেশি। তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার রয়েছেন চল্লিশের মতো।
নির্বাচন কমিশনের লক্ষ্য, ২০২১ সালের জানুয়ারিতে আঠারোয় পা দেওয়া কোনও ভোটার যেন তাঁদের ভোটাধিকার প্রয়োগ থেকে বঞ্চিত না থাকেন। তবে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বিশেষত কলেজগুলি বন্ধ থাকায় নতুন ভোটারদের তালিকায় নাম তোলাতে আগ্রহী করে তুলতে যে ধরনের কর্মসূচি অন্যান্যবার নেওয়া হয়, সেটা নেওয়া যাচ্ছে না। জেলা প্রশাসনের আধিকারিক এবং বিডিও-রা বলছেন, ভোটারদের বাড়ি বাড়ি নতুন ভোটারদের আবেদন পত্র দিয়ে আসার ভাবনা নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া, ভোটারদের সচেতন করতে পোস্টার, হোর্ডিং, পথ নাটিকা-সহ নানা সচেতনতামূলক প্রচার থাকছেই।