তথ্য যাচাইয়ে গতি কেন কম, তর্জা শুরু বাঁকুড়ায়

এমনিতে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার তালিকায় তথ্য যাচাই প্রক্রিয়া যেমন চলে, তেমনই চলবে বলে প্রশাসন সূত্রে জানা যাচ্ছে। তবে গত ১ সেপ্টেম্বর থেকে ভোটারদের অনলাইনে তথ্য যাচাইয়ের সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে।

Advertisement

রাজদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়

বাঁকুড়া শেষ আপডেট: ১৯ অক্টোবর ২০১৯ ০৬:০০
Share:

—ফাইল চিত্র

ইতিমধ্যে ভোটার তালিকার তথ্য যাচাইয়ের সময়সীমা বাড়িয়েছে নির্বাচন কমিশন। তবে বাঁকুড়া জেলায় তথ্য যাচাইয়ের কাজের গতি নিয়ে উঠছে নানা প্রশ্ন। মেরেকেটে তিরিশ শতাংশ মানুষ এখনও পর্যন্ত তথ্য যাচাই করেছেন বলে প্রশাসন সূত্রের খবর। তবে প্রশাসনের কর্তাদের একাংশের মতে, ধাপে ধাপে তথ্য যাচাইয়ের কাজে গতি আসবে।

Advertisement

এমনিতে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার তালিকায় তথ্য যাচাই প্রক্রিয়া যেমন চলে, তেমনই চলবে বলে প্রশাসন সূত্রে জানা যাচ্ছে। তবে গত ১ সেপ্টেম্বর থেকে ভোটারদের অনলাইনে তথ্য যাচাইয়ের সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে। প্রশাসনের কর্তারা জানাচ্ছেন, নির্বাচন কমিশন চায় ভোটারেরা নিজেদের তথ্য নিজেরাই যাচাই করুন। তাতে ভুল হওয়ার সম্ভাবনা কম। পাশাপাশি, ভোটারেরাও সচেতন হবেন।

ব্যক্তিগত মোবাইল বা কম্পিউটার থেকে, না হলে কোনও সাইবার ক্যাফে, সহজ তথ্যমিত্র কেন্দ্রে গিয়ে তথ্য তালিকার তথ্য যাচাই করতে পারছেন ভোটারেরা। এ ছাড়া, ব্লক নির্বাচনী দফতরগুলিতে গিয়েও এই কাজ করা যেতে পারে। তবে জেলায় এই কাজে গতি তেমন দেখা যাচ্ছে না। প্রশাসনিক সূত্রে খবর, শুক্রবার পর্যন্ত বাঁকুড়া জেলায় ৩০ শতাংশ মানুষই এই কর্মসূচিতে সাড়া দিয়ে নিজেদের তথ্য যাচাই করেছেন। তথ্য যাচাই করার নিরিখে জেলার মধ্যে সব থেকে এগিয়ে প্রত্যন্ত জঙ্গলমহল রাইপুর বিধানসভা কেন্দ্রের মানুষজন (৪৮.১ শতাংশ)। তার পরেই রয়েছে কোতুলপুর বিধানসভা (৪৪.৫ সতাংশ)। জেলায় এই কাজে সবচেয়ে কম গতি বাঁকুড়া বিধানসভা কেন্দ্রে। এখানের ১৩.৮৬ শতাংশ মানুষ এখনও পর্যন্ত অনলাইনে ভোটার কার্ডের তথ্য যাচাই করেছেন। বাঁকুড়া বিধানসভা কেন্দ্রের অনেকটা অংশ জুড়েই শহরাঞ্চল। এখানে মোবাইল বা ইন্টারনেট পরিষেবাও উন্নত। তার পরেও কেন মানুষজন তথ্য যাচাইয়ে সাড়া দিচ্ছেন না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে প্রশাসনের অন্দরেই।

Advertisement

এই কর্মসূচির প্রচারে নেমে সর্বদলীয় বৈঠক করে প্রশাসন। ব্লকে ব্লকে মাইক নিয়ে ঘোরা, ফ্লেক্স ও ব্যানার টাঙিয়ে প্রচার— সব হয়েছে বলেই প্রশাসনের দাবি। তার পরেও সমস্যা কোথায়? সিপিএমের জেলা কমিটির সদস্য মনোরঞ্জন বসু বলেন, “অনলাইনে মোবাইলের মাধ্যমে তথ্য যাচাই প্রক্রিয়াটি সহজ নয়। প্রশাসনের প্রচারও তেমন দেখছি না। মানুষ তাই বিষয়টিকে গুরুত্ব দিচ্ছেন না।”

তবে কর্মসূচিকে সফল করতে এ বার কোমর বেঁধে নামতে চলেছে প্রশাসন। অতিরিক্ত জেলাশাসক (ভূমি ও ভূমি সংস্কার) সব্যসাচী সরকার বলেন, “অনলাইনে ভোটার তালিকার তথ্য যাচাইয়ের কাজের গতি বাড়ানোর জন্য আরও জোর কদমে ব্লকে ব্লকে প্রচার চালাতে আমরা উদ্যোগী হচ্ছি।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement