বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। —ফাইল চিত্র।
জাতিবিদ্বেষ মামলায় আগাম জামিন পেলেন না বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। তবে আগাম জামিনের আবেদন মঞ্জুর হয়েছে বিশ্বভারতীর বাকি তিন আধিকারিক প্রশান্ত ঘোষ, মহুয়া বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তন্ময় নাগের।
আদালত সূত্রে খবর, শুক্রবার মামলার শুনানিতে সিউড়ি আদালতে হাজির ছিলেন না বিদ্যুৎ। শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে আদালতে গরহাজির ছিলেন উপাচার্য। সেই কারণেই তাঁর আগাম জামিনের আবেদন মঞ্জুর করেনি আদালত। বাকি তিন জনের শর্তসাপেক্ষে জামিন মঞ্জুর করা হয়েছে। তবে আদালতের নির্দেশ, তাঁরা কেউই রাজ্যের বাইরে যেতে পারবেন না। এই মামলায় সরকারি আইনজীবী তপন গোস্বামী বলেন, ‘‘উপাচার্যের জামিন মঞ্জুর হয়নি। কারণ, উনি আজ হাজির ছিলেন না অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে। সেই কারণে পরের শুনানিতে সেটা নিয়ে নির্দেশ দেবেন বিচারক।’’
চলতি বছরের ৫ জুলাই উপাচার্য-সহ বিশ্বভারতীর চার জনের বিরুদ্ধে জাতিবিদ্বেষের মামলা করেছিলেন প্রশান্ত মেশরাম নামে এক ব্যক্তি। প্রশান্ত বিশ্বভারতীর অ্যাকাডেমিক এবং রিসার্চ বিভাগের রেজিস্ট্রার। তাঁর অভিযোগ, ওড়িশার কোরাপুটে সেন্ট্রাল বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা নিয়ামক পদে মনোনীত হন প্রশান্ত। তাঁর পদোন্নতি আটকাতে নানা রকম ভাবে ষড়যন্ত্র করা হয়। এমনকি তফসিলি সম্প্রদায়ভুক্ত হওয়ার জন্য তাঁকে অপমান করা হয়েছে বলেও অভিযোগ তোলেন প্রশান্ত। এ নিয়ে তিনি প্রথমে জাতীয় তফসিলি কমিশনের দ্বারস্থ হন। পরে সিউড়ি আদালত, কলকাতা হাই কোর্ট এবং সুপ্রিম কোর্টেও গিয়েছেন। হাই কোর্ট অভিযুক্ত তিন জনকে রক্ষাকবচ দিয়েছে। কিন্তু প্রশান্ত ঘোষের কোনও রক্ষাকবচ ছিল না। সিউড়ি আদালতে সেই মামলারই শুনানি ছিল শুক্রবার।