হাই কোর্টের রায় শুনে মিষ্টিমুখ, আবিরখেলা বিশ্বভারতীতে। —নিজস্ব চিত্র।
বিশ্বভারতীর তিন ছাত্রের বহিষ্কারের নির্দেশে স্থগিতাদেশ দিয়েছে আদালত। এই নির্দেশে উচ্ছ্বসিত আন্দোলনকারী পড়ুয়ারা। অবস্থান মঞ্চে চার দিন ধরে অনশন করছিলেন বহিষ্কৃত পড়ুয়া রূপা চক্রবর্তী এবং অধ্যাপক সুদীপ্ত ভট্টাচার্য। আদালতের রায়ের পর অনশন ভাঙেন তাঁরা। ইতিমধ্যে সুদীপ্তকে সাসপেন্ড করেছেন বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ।
আদালতের নির্দেশ জানার পর বিশ্বভারতী ক্যাম্পাস জুড়ে শুরু হয় অকাল বসন্তোৎসব। জয় উদ্যাপন করতে মিষ্টিমুখও করেন আন্দোলনকারীরা। আন্দোলনকারীরা স্লোগান দিতে দিতে উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর বাসভবন পূর্বিতার সামনে উপস্থিত হন। তাঁরা উপাচার্যকে মিষ্টির হাঁড়িও দিতে চেয়েছিলেন। তবে বিদ্যুৎ তা প্রত্যাখ্যান করেন। এর পর আন্দোলনকারীরা নিজেরাই মিষ্টিমুখ করেন। আদালতের নির্দেশে উচ্ছ্বসিত পড়ুয়ারা উপাচার্যের বাসভবনের সামনে আবির খেলায় মেতে ওঠেন।
প্রতিবাদীদের পক্ষে সোমনাথ সৌ বলেন, ‘‘হাই কোর্টের বিচারে আমাদের আস্থা ছিল। আমরা উপযুক্ত বিচার পেয়েছি। তবে আইনজীবীদের পরামর্শ নিয়েই স্বৈরাচারী উপাচার্যের বিরুদ্ধে আন্দোলন যেমন ছিল তেমন চলবে। এই উপাচার্য রবি ঠাকুরের স্মৃতিবিজড়িত বিশ্বভারতীতে উপযুক্ত নন। তাই এ বার তাঁর পদত্যাগ চেয়ে পরবর্তী কালে আরও বৃহত্তর আন্দোলন করা হবে।।’’ একই বক্তব্য আর এক বহিষ্কৃত প়ড়ুয়া রূপা চক্রবর্তীরও। বিশ্বভারতীর প্রাক্তনী এবং প্রবীণ আশ্রমিক সুবোধ মিত্র বলেন, ‘‘এই উপাচার্যের বিরুদ্ধে আন্দোলনকারী পড়ুয়ারা ইতিহাস তৈরি করলেন।’’