ফাইল ছবি।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নিজের হাতে তৈরি বিশ্বভারতী। দীর্ঘ দিন ধরেই কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে স্বীকৃত। একদা যে বিশ্বভারতীতে পড়তে দেশ-বিদেশের কৃতীরা লাইন দিতেন, আজ তার অবস্থা কেমন? কেন্দ্রীয় সরকারের ‘ন্যাশনাল ইনস্টিটিউশনাল র্যাঙ্কিং ফ্রেমওয়ার্ক (এনআইআরএফ)’-এর তালিকা বলছে, দেশের সেরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে ৯৮ নম্বরে রয়েছে কবিগুরুর স্মৃতিবিজড়িত বিশ্বভারতী। গত বার ওই তালিকার ৬৪ নম্বরে ছিল কেন্দ্রীয় এই বিশ্ববিদ্যালয়।
তালিকা থেকে স্পষ্ট, কেন্দ্রীয় এই বিশ্ববিদ্যালয় হারিয়েছে তার অতীত গরিমা। এই প্রেক্ষিতেই প্রশ্ন উঠছে, বিশ্বভারতীর মানের সামগ্রিক অবনমনের কারণ কী? একদা যে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা সংক্রান্ত বিষয়ে শিরোনাম দখল করতে অভ্যস্ত ছিল, আজও তার শিরোনামে থাকার অভ্যাস বদল হয়নি। কিন্তু এখন বিশ্বভারতী শিরোনামে আসছে কেবল শিক্ষা বহির্ভূত বিভিন্ন বিষয়ে। অনেকেই এ জন্য দায়ী করছেন বর্তমান উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীকে। আবার অনেকেই দায়ী করছেন বিশ্বভারতীর পরিবেশের সামগ্রিক অবক্ষয়কে। তাঁদের মতে, বিশ্ববিদ্যালয়ের পিছিয়ে পড়ার জন্য একা উপাচার্যকে দায়ী করা ঠিক নয়, বরং সামগ্রিক ভাবে এ জন্য বাদী-বিবাদী, উভয়ই দায়ী। তবে সঠিক নেতৃত্বের যে অভাব রয়েছে, তা মেনে নিচ্ছেন সবাই।
শিক্ষাবিদ পবিত্র সরকার বলছেন, ‘‘রবীন্দ্রনাথের কাজকে গোটা বিশ্ব চায়। কিন্তু এই উপাচার্যের আমলে ভাল কাজ, শিল্পকর্ম, চিত্রকলা থেকে পড়াশোনা— এগুলোকে কতটা তুলে ধরার চেষ্টা হয়েছে, তা নিয়ে আমার সন্দেহ আছে। তারই প্রভাব পড়েছে র্যাঙ্কিংয়ে।’’ প্রতিক্রিয়ার জন্য উপাচার্যের সঙ্গে আনন্দবাজার অনলাইন যোগাযোগের চেষ্টা করছে। এ বিষয়ে তাঁর প্রতিক্রিয়া পাওয়া গেলে, তা প্রকাশিত হবে।
এনআইআরএফ-এর সাম্প্রতিক তালিকায় দেখা যাচ্ছে, দেশের সেরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর তালিকায় চতুর্থ স্থানে রয়েছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। অষ্টম স্থানে রয়েছে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়। সেখানে রাজ্যেরই অন্য বিশ্ববিদ্যালয়, বিশ্বভারতীর স্থান হয়েছে ১০০-এর মধ্যে ৯৮-এ।