অতিথিদের বরণ। শান্তিনিকেতনে লিপিকা প্রেক্ষাগৃহে বাবাসাহেব ভীমরাও অম্বেডকরের জন্মদিন পালনের অনুষ্ঠানে। নিজস্ব চিত্র।
নতুন বছরের প্রথম দিনই জিন্স ও রঙিন পোশাক পরে কয়েক জন পড়ুয়ার অতিথি বরণ নিয়ে ‘বিতর্ক’ শুরু হল বিশ্বভারতীতে। ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার বিশ্বভারতী লিপিকা প্রেক্ষাগৃহে বাবাসাহেব ভীমরাও অম্বেডকর জন্মদিন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে। এই অনুষ্ঠানে উপস্থিতি ছিলে বিশ্বভারতীর ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য সঞ্জয়কুমার মল্লিক-সহ বেশ কয়েক জন অতিথি।
২০২২ সালে বিশ্বভারতীর শিল্প উৎসবে আমন্ত্রিত প্রধান অতিথি সাদার বদলে নীল পাঞ্জাবি পরে আসায় তৎকালীন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী তাঁকে অনুষ্ঠান মঞ্চে বসার অনুমতি দেননি। যা ঘিরে সেই সময় বিতর্ক হয়। বিশ্বভারতীর তরফে পরের দিন প্রেস বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়, বিশ্বভারতীর অনুষ্ঠানে সকলের সাদা পোশাক পরে যোগদানই রীতি। এ দিন অতিথি বরণের সময়ে দুই পড়ুয়া জিন্স ও এক জন রঙিন পোশাক পরেছিলেন। যা নিয়ে আপত্তি তুলেছেন বিশ্বভারতীর পড়ুয়াদের একাংশই।
বিশ্বভারতীর পড়ুয়া শুভদীপ দে, বন্যা সাহা বলেন, “মনে হচ্ছে বিশ্বভারতীর ঐতিহ্য যেন হারিয়ে যাচ্ছে। বি আর অম্বেডকরে মতো ব্যক্তির জন্মদিনে বিশ্বভারতীতে এটা আশা করা যায় না।” নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কর্মী, শিক্ষকেরাও বলেন, “প্রতিটি অনুষ্ঠানে বিশ্বভারতীতে যেখানে পোশাক বিধি মেনে চলে, সেখানে এমন অনুষ্ঠানেও পোশাক বিধি মানা উচিত ছিল।”
প্রবীণ আশ্রমিক তথা শান্তিনিকেতন ট্রাস্টের সম্পাদক অনিল কোনার বলেন, ‘‘বিভিন্ন অনুষ্ঠান, উৎসবে বিশ্বভারতীতে বরাবরের রীতি সাদা পোশাক পরার, যা নিয়ে আগে অনেক বিতর্কও হয়েছে। তাই সেই পোশাক বিধি মেনে চলা উচিত বলা আমার মনে হয়।’’
এ নিয়ে বিশ্বভারতীর ভারপ্রাপ্ত জনসংযোগ আধিকারিক অতিগ ঘোষকে ফোন করা হলে তিনি ফোন ধরেননি। মেসেজেরও জবাব দেননি।