VishwaBharati

Visva Bharati University: বিশ্বভারতী দুয়োরানি? আলিয়া নিয়ে সরকারের ‘প্রশংসা’ করে প্রশ্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের

‘ছাত্র-তাণ্ডব’ বন্ধ করতে ‘পুলিশ বন্ধুরা’ সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসবেন বলেও ‘আশা’ প্রকাশ করেছেন বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বোলপুর শেষ আপডেট: ০৪ এপ্রিল ২০২২ ২০:২১
Share:

—ফাইল চিত্র।

আলিয়া-কাণ্ডে পুলিশি পদক্ষেপ নিয়ে রাজ্য সরকারের প্রশংসা করলেন বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। পাশাপাশি এর পর থেকে ছাত্র-তাণ্ডব বন্ধ করতে পুলিশ সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসবে বলেও আশাপ্রকাশ করা হয়েছে। সোমবার বিজ্ঞপ্তি জারি করে এমনটাই জানানো হয়েছে বিশ্বভারতীর তরফে। যদিও কর্তৃপক্ষের ওই বিজ্ঞপ্তির নিন্দা করেছে ছাত্র সংগঠনগুলি।
ওই বিজ্ঞপ্তিতে বিশ্বভারতীর ভারপ্রাপ্ত জনসংযোগ আধিকারিক মহুয়া বন্দোপাধ্যায়ের সই রয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, ‘আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মহম্মদ আলিকে হেনস্থা করার পর তথাকথিত ছাত্র-নেতা গিয়াসউদ্দিন মণ্ডলের বিরুদ্ধে যথোপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য রাজ্য সরকারকে জানাই অভিনন্দন।’ ওই বিজ্ঞপ্তিতে এর পরেই আবার লেখা হয়েছে, ‘আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস, রাজ্য সরকার ছাত্র-তাণ্ডব দমন করে রাজ্যের উচ্চশিক্ষার প্রতিষ্ঠানগুলিতে নজর দেবেন। মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী নিশ্চয় চান না যে, রাজ্যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি গুন্ডামির আখড়া তৈরি হয়। বিশ্বভারতী যে হেতু একটি কেন্দ্রীয় প্রতিষ্ঠান তাই এই ধরনের অসভ্যতা, অভদ্রতা এবং আমানবিক ব্যবহারের সম্মুখীন হয় হামেশাই।’ আরও লেখা হয়েছে, ‘আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে পুলিশের ভূমিকা দেখে আমরা কি আশা করতে পারি যে, বিশ্বভারতী আর দুয়োরানি থাকবে না। রাজ্য সরকার এবং পুলিশ প্রশাসন একই ভাবে ব্যবস্থা নেবে যখন যে কোনও ধরনের তাণ্ডব বিশ্বভারতীকে গ্রাস করবে।’

Advertisement

সম্প্রতিই বিশ্বভারতীতে একাধিক দাবিকে সামনে রেখে আন্দোলন শুরু করেছিলেন পড়ুয়ারা। তাঁরা পরীক্ষাও বটকয় করেন। সেই ঘটনার কথাও উল্লেখ করা হয়েছে কর্তৃপক্ষের ওই বিবৃতিতে। এ নিয়ে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের বিশ্বভারতী ইউনিটের সভাপতি মীনাক্ষী ভট্টাচার্যের প্রতিক্রিয়া, ‘‘বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ আলিয়ার ঘটনার নিন্দা করেছেন, এটা ভাল। কিন্তু, তিনি এখন সব ঘটনার সঙ্গে নিজেকে মিলিয়ে ফেলছেন। আর এই সকল কথা বলে প্রতিবাদীদের কণ্ঠরোধ করার চেষ্টা করছেন। এই উপাচার্য কতটা রবীন্দ্রআদর্শ বিরোধী সেটা সকলেই জানেন।’’

এসএফআই নেতা সোমনাথ সৌয়ের বক্তব্য, ‘‘আলিয়ার ঘটনা নিন্দনীয়। কিন্তু তার সঙ্গে বিশ্বভারতীর ঘটনার কোনও তুলনাই হয় না। বিশ্বভারতীতে অনলাইন বৈঠকে গালিগালাজের সংস্কৃতি উপাচার্য নিজে আমদানি করেছেন। প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে যা অভিযোগ তোলা হয়েছে সেগুলি ঠিকই। তবে ওই জায়গাগুলিতে পড়ুয়াদের জায়গায় উপাচার্যের নাম থাকতে হত।’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement