১০ দিন সময় পেয়েছেন নবেলজয়ী। — ফাইল চিত্র।
অমর্ত্য সেন বিদেশে আছেন। তা ছাড়া, জমি সংক্রান্ত বেশ কিছু নথিও না-থাকায় ২৯ মার্চ বিশ্বভারতীর যুগ্ম কর্মসচিব তথা এস্টেট অফিসারের কাছে তিনি বা তাঁর কোনও প্রতিনিধি হাজিরা দিতে পারবেন না বলে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষকে ক’দিন আগে জানিয়েছিলেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদের আইনজীবী গোরাচাঁদ চক্রবর্তী। চিঠিতে চার মাস সময়ও চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু, বিশ্বভারতী চার মাসের বদলে মাত্র ১০ দিন সময় দিয়েছে হাজিরার জন্য।
নোবেলজয়ীর অর্থনীতিবিদ বুধবার জানিয়েছেন, শান্তিনিকেতনে প্রতীচী বাড়ির নিরাপত্তারক্ষীদের হাতে অমর্ত্য সেনের নামে একটি চিঠি দিয়ে দশ দিনের সময় মঞ্জুর করা হয়েছে শো-কজ় ও শুনানির জন্য। এই চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে গোরাচাঁদ বলেন, “স্যর, যেহেতু এই মুহূর্তে দেশের বাইরে রয়েছেন, তাই এত কম সময়ের মধ্যে সব নথিপত্র সহ হাজির হওয়া সম্ভব নয়।” এই নিয়ে পাল্টা চিঠি দেওয়ারও ভাবনাচিন্তা রয়েছে বলেও তিনি জানান। বিশ্বভারতীর তরফে অবশ্য দশ দিন মঞ্জুর করার পক্ষে চিঠিতে একাধিক যুক্তি দেওয়া হয়েছে বলে সূত্রের খবর। যদিও এ বিষয়ে বিশ্বভারতীর প্রতিক্রিয়া মেলেনি।
সম্প্রতি অমর্ত্য সেনকে চিঠি দিয়ে বিশ্বভারতী বলেছিল, তাঁর বিরুদ্ধে ১৯৭১ সালের দখলদার উচ্ছেদ আইন কেন প্রয়োগ করা হবে না, তার জবাব ২৪ মার্চ বা তার আগে জানতে হবে। পাশাপাশি, ২৯ মার্চ বিকেলে অমর্ত্য সেনকে সশরীর অথবা তাঁর কোনও প্রতিনিধিকে বিশ্বভারতীর যুগ্ম কর্মসচিব তথা এস্টেট অফিসারের কাছে শুনানির জন্য হাজির দিতেও বলা হয়েছিল। তার প্রেক্ষিতেই চিঠি দিয়ে নোবেলজয়ীর আইনজীবী চার মাস সময় চেয়েছিলেন।