—প্রতীকী চিত্র।
ছাত্রীদের শারীরিক এবং মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ উঠল বিশ্বভারতীর এক অধ্যাপকের বিরুদ্ধে। শান্তিনিকেতন থানায় গিয়ে অভিযোগ দায়ের করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন ছাত্রী। অভিযোগ, ওই অধ্যাপক তাঁদের ফোনে ‘অশ্লীল’ বার্তাও পাঠিয়েছেন।
বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের এক অধ্যাপকের বিরুদ্ধে ওই বিভাগের তিন ছাত্রী শনিবার থানায় গিয়েছেন। তাঁরা জানিয়েছেন, পরীক্ষায় ফেল করিয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে নির্যাতন করা হত তাঁদের উপর। অভিযোগকারী এক ছাত্রীর বক্তব্য, ‘‘ওই অধ্যাপক পরীক্ষায় ফেল করানোর ভয় দেখিয়ে একাধিক বার আমাদের উপর শারীরিক এবং মানসিক নির্যাতন করেছেন। এমনকি, আমাদের হোয়াট্সঅ্যাপেও অশ্লীল মেসেজ পাঠিয়েছেন। আমরা আতঙ্কিত। তাই পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছি।’’
আর এক ছাত্রী বলেন, ‘‘আমাদের বিভাগের অধ্যাপক ছাত্রীদের বার বার উল্টোপাল্টা মেসেজ করেন। আমাদের বলেন, ওঁর সঙ্গে আলাদা করে দেখা করতে হবে। সম্পর্ক তৈরি করতে হবে। না হলে ‘ব্যাক’ দিয়ে দেবেন। রাত কাটানোর কথাও বলেছেন। ওঁর কথা না শুনলেও এগুলো করেন। পরীক্ষায় ফেল করিয়ে ভবিষ্যৎ, কেরিয়ার নষ্ট করে দেওয়ার হুমকি দেন বার বার। আমরা চাই না, আমাদের সঙ্গে যা হয়েছে, তা ভবিষ্যতে আর কারও সঙ্গে হোক।’’
থানায় তথ্যপ্রমাণ সঙ্গে নিয়েই গিয়েছেন ছাত্রীরা। ওই অধ্যাপকের কাছ থেকে কী কী মেসেজ তাঁদের ফোনে এসেছে, তা তাঁরা পুলিশকে দেখিয়েছেন। অধ্যাপকের শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
বিশ্বভারতীর ওই ছাত্রীদের অভিযোগ অবশ্য উড়িয়ে দিয়েছেন অভিযুক্ত অধ্যাপক। তাঁর সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা হয়েছিল। তিনি বলেন, ‘‘আমি এই মুহূর্তে বোলপুরে নেই। বাইরে আছি। এ বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। কোনও পড়ুয়াকে যদি হোয়াট্সঅ্যাপে কোনও মেসেজ পাঠানো হয়ে থাকে, তা পড়াশোনার বিষয়েই করা হয়েছে। তার বাইরে কারও সঙ্গে সম্পর্ক নেই।’’
পুলিশ সুপার রাজনারায়ণ মুখোপাধ্যায় এ প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, যদি অভিযোগ জমা পড়ে থাকে, তবে অবশ্যই তদন্ত করে দেখা হবে।