প্রয়াত প্রাক্তন বিধায়ক মুখতার আনসারির শেষকৃত্যে নজিরবিহীন জনজোয়ার দেখল উত্তরপ্রদেশের গাজিপুর। ছবি: পিটিআই।
প্রয়াত প্রাক্তন বিধায়ক মুখতার আনসারির শেষকৃত্যে নজিরবিহীন জনজোয়ার দেখল উত্তরপ্রদেশের গাজিপুর। বৃহস্পতিবার রাতে উত্তরপ্রদেশের বান্দা জেলে সাজাপ্রাপ্ত মুখতারের হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে ইতিমধ্যেই নানা প্রশ্ন উঠেছে। এই পরিস্থিতিতে শনিবারের শেষকৃত্যপর্বে অশান্তির সম্ভাবনা এড়াতে গাজিপুর এবং আশপাশের এলাকাগুলিতে কড়া পুলিশি নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছিল উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের সরকার।
শুক্রবার গভীর রাতে বান্দার রানি দুর্গাবতী হাসপাতাল থেকে মুখতারের দেহ নিয়ে যাওয়া হয়েছিল গাজিপুরের পৈতৃক ভিটেয়। উত্তরপ্রদেশ পুলিশের ২৪টি ভ্যান এবং অ্যাম্বুল্যান্স-সহ মোট ২৬টি গাড়ি ছিল কনভয়ে। ৪০০ কিলোমিটার যাত্রাপথে প্রয়াগরাজ, ভাদোহী, কৌশাম্বী, বারাণসীর মতো জেলাগুলিতে ছিল পুলিশি নজরদারি। দেহবাহী অ্যাম্বুল্যান্সে ছিলেন মুখতারের দুই পুত্র উমর এবং আব্বাস।
মাউয়ের বিধায়ক আব্বাসও বর্তমানে জেলবন্দি। আদালতের অনুমতি নিয়ে পিতার শেষকৃত্যে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। গাজিপুরের বাড়িতে শুক্রবার গভীর রাতে পরিবারের তরফে মুখতারের দেহ গ্রহণ করেন তাঁর দাদা তথা প্রাক্তন বিধায়ক সিবগাতুল্লা আনসারি এবং তাঁর পুত্র তথা মহম্মদাবাদের সমাজবাদী পার্টির বিধায়ক সুহেব। মধ্যরাত থেকে ভিড় জমতে শুরু করে আনসারি পরিবারের বাড়ির সামনে।
পূর্ব উত্তরপ্রদেশের পাশাপাশি রাজধানী লখনউ, শিল্পশহর কানপুর থেকেও হাজার হাজার অনুগামী শনিবার মুখতারকে শেষ বিদায় জানাতে এসেছিলেন। কিন্তু যোগী সরকারের পুলিশের কড়াকড়ির কারণে তাঁদের অনেকেই পাঁচ বারের বিধায়কের মরদেহের কাছে ঘেঁষতে পারেননি বলে অভিযোগ। প্রশাসনিক নির্দেশের কারণেই দ্রুত সমাহিত করা হয় বলেও অভিযোগ উঠেছে পরিবারের একাংশের তরফে। গাজিপুরের অদূরে মহম্মদাবাদের কলিবাগে পারিবারিক গোরস্থানে দেহ নিয়ে যাওয়ার সময়ও জনসমাগম ঘটে ‘বাহুবলী’ নেতার শেষযাত্রায়।