TMC

TMC and BJP: ‘চোখ গেলে দেব’, বিজেপি নেত্রীকে তৃণমূল নেতার ‘শাসানি’, ভাইরাল ভিডিয়ো ঘিরে বিতর্ক

বাঁকুড়ার জেলাশাসকের কাছেও লিখিত ভাবে অভিযোগ জানিয়েছেন কৃষ্ণা। যদিও সমস্ত অভিযোগই অস্বীকার করেছেন অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বাঁকুড়া শেষ আপডেট: ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২১ ০১:০৬
Share:

—নিজস্ব চিত্র।

বিজেপি নেত্রীকে চোখ গেলে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দেওয়ার অভিযোগ উঠল বাঁকুড়ায় সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে। ওই ঘটনার একটি ভিডিয়োও ভাইরাল হয়েছে নেটমাধ্যমে। বিজেপি-র দাবি, নিতাই চক্রবর্তী নামে ওই তৃণমূল নেতাকে বিষ্ণুপুরের বিজেপি নেত্রী কৃষ্ণ হালদারের উদ্দেশে বলতে শোনা গিয়েছে, ‘‘চোখ গেলে দেব। ভদ্র ভাবে থাকবেন এবং ভদ্র আচরণ করবেন।’’ বাঁকুড়ার জেলাশাসকের কাছেও লিখিত ভাবে অভিযোগ জানিয়েছেন কৃষ্ণা। যদিও সমস্ত অভিযোগই অস্বীকার করেছেন অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা। কৃষ্ণা বিজেপি-র বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলার তালডাংরা তিন নম্বর মন্ডলের মহিলা মোর্চার সভানেত্রী। গেরুয়া শিবিরের অভিযোগ, গত বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকেই ঘর ছাড়া ছিলেন কৃষ্ণা। সম্প্রতি মান্ডি গ্রামে নিজের বাড়িতে ফেরেন তিনি। তার পর থেকেই তাঁকে লাগাতার হুমকি দেওয়া হত। সোমবার সকালেও নিতাইয়ের নেতৃত্বে একদল তৃনমূল কর্মী কৃষ্ণার চড়াও হয়ে শাসানি দিতে শুরু করে। কৃষ্ণার অভিযোগ, ‘‘ফল ঘোষণার পর থেকে তিন মাস বাড়ি ছাড়া ছিলাম আমি। বাড়িতে ফেরার পর থেকেই আমার উপর অত্যাচার চালাচ্ছে তৃনমূল নেতারা। গত কাল রাতে আমি টেলিফোনে কথা বলছিলাম। তা দেখে তৃনমূল নেতার স্ত্রীর মনে হয়েছে, আমি নাকি তাঁকে গালাগাল করছি! আজ সকালে তৃনমূল নেতা নিতাই চক্রবর্তী আমার বাড়িতে চড়াও হয়ে আমাকে হুমকি ও মারধর করে। আমার মেয়েকেও মারধর করা হয়।’’

Advertisement

তবে ভাইরাল হওয়া ভিডিয়োতে নিতাই যাঁর উদ্দেশে কথা বলছিলেন, তাঁকে দেখা যায়নি। পাশে দাঁড়ানো একজন গোটা ঘটনার ক্যামেরাবন্দি করায় তাঁর হাত থেকে মোবাইল কেড়ে নিতেও দেখা গিয়েছে ওই তৃণমূল নেতাকে। বিজেপির বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি সুজিত অগস্তি বলেন, ‘‘সারা রাজ্যে যে ভাবে আমাদের কর্মীদের উপর হামলা হচ্ছে, এটা তারই প্রমাণ। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মহিলা হওয়া সত্ত্বেও এক জন মহিলার উপর যে ভাবে তৃনমূল নেতারা হামলা করেছে, তা অত্যন্ত লজ্জার। প্রশাসনের কাছে আমাদের অনুরোধ, কৃষ্ণা হালদার যাতে সুস্থ, স্বাভাবিক ভাবে বাঁচতে পারে, তার ব্যবস্থা করুন।’’

ও দিকে, বিজেপি নেত্রীকে হুমকি আর মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করে নিতাই বলেন, ‘‘নির্বাচনের আগে থেকে কৃষ্ণা আমাকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে আসছিলেন। নির্বাচনের ফল ঘোষণার পর তিনি নিজেই গ্রাম ছেড়ে বাপের বাড়ি চলে যান। আমরাই তাঁকে আশ্বাস দিয়ে গ্রামে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করি। গতকাল আমার স্ত্রী বাজার গেলে তাঁকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেছিলেন কৃষ্ণা। আমি কোনও রাজনৈতিক কর্মী হিসাবে নয়, গ্রামের এক জন মানুষ হিসাবে তাঁকে ভাল ভাবে বলেছি ভদ্র আচরণ করার জন্য। তাঁকে কোনও হুমকি, শাসানি বা মারধর করা হয়নি।’’ তৃনমূলের বাঁকুড়া সাংগঠনিক জেলার সভাপতি দিব্যেন্দু সিংহ মহাপাত্র বলেন, ‘‘বিষয়টি আমার জানা নেই। খোঁজ নিয়ে এবিষয়ে প্রতিক্রিয়া দেব।’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement